ময়না: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের (BJP Worker Murder) পর থেকে তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। এমনকী খুনের জন্য শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress) দিকে আঙুল তোলে গেরুয়া শিবির। তদন্তে নেমে মৃত কৃষ্ণপ্রসাদ পাত্রের (৩৮) স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দফায় দফায় চলে জেরা। বর্তমানে পুলিশের দাবি, রাজনৈতিক কারণে খুন হননি ময়নায় বিজেপি কর্মী। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জেরেই বলি হতে হয়েছে তাঁকে। জেরায় এ কথা স্বীকার করেছে মৃতের স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যজুড়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। আওয়াজ তুলেছে বিজেপিও। এরইমধ্যে জেলাজুড়ে অশান্তির মাঝেই,বেশ কিছু দিন আগে খেজুরি এক বিজেপি কর্মী মৃত্যু নিয়ে ঘাসফুল ও গেরুয়া শিবিরে চাপানউতর শুরু হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ময়না বাকচা এলাকার চাঁদিবেনিয়া গ্রামে বিজেপি কর্মী মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়। যা নিয়ে জেলার পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বকেও হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল পারিবারিক কারণেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। একই দাবি ছিল তৃণমূলেরও। ১১ তারিখ ঘটনার দিন বেলার দিকে মৃত কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রী ও ভাইকে সন্দেহের কারণেই আটক করে পুলিশ। তারপর থেকে চলছিল জেরা।
তদন্ত এগোতেই ধীরে ধীরে উঠতে থাকে রহস্যের পর্দা। শেষ পর্যন্ত তদন্তের দড়ি গুটিয়ে পুলিশ জানিয়ে দিল প্রণয়ঘটিত কারণেই খুন হয়েছেন কৃষ্ণপ্রসাদ পাত্র। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান তমলুকের এসডিপিও আবু বক্কর। প্রসঙ্গত,গত ১১ মে বুধবার ময়না থানার বাকচা এলাকা থেকে কৃষ্ণপ্রসাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিতি ছিল ওই যুবকের। তাই স্বভাবতই খুনের পর থেকে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। রাজনীতি নাকি পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন? প্রশ্নের উত্তর থুঁজতে গিয়ে তীব্র ধোঁয়াশা তৈরি হয় গোটা জেলাজুড়েই।