উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁর পাশাপাশি গাইঘাটা, হাবড়াতেও তল্লাশি চালাল NIA। বুধবার সাত সকালে গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলায় হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আই এ। স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, ভোররাতে বিকাশ সরকারের ভাড়া বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বিকাশ তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা সরকার ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে হাজরাতলায় অনামিকা বিশ্বাসের বাড়িতে প্রায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন।
বুধবার সকালে আধিকারিকরা বিকাশের বাড়িতে বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালান। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন। বেশ কয়ক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশকে আটক করে নিয়ে যায় এনআইএ। তবে কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
বিকাশের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে এখানে এসেছিলেন। চার মাস আগে তিনি এখানে আসেন চিকিৎসার করানোর জন্য। কিন্তু তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি।
এদিকে, হাবড়া থানার বানীপুর হিরাপোল এলাকাতেও এনআইএ আধিকারিকরা যান। বুধবার সকালে কিঙ্কর দাসের বাড়িতে যান তাঁরা। কিন্তু সে সময়ে কিঙ্কর দাস বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর মামার সঙ্গে কথা বলেই ফিরে যায় হাবরা থানান পুলিশ কর্তা ও এনআইএ আধিকারিকরা। প্রতিবেশীদের মারফত জানা যায় কিঙ্কর দাসও আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে এদেশে এসেছেন তিনি। প্রথমে জলের ব্যবসা ও পরে একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন। পুজোর আগেই বৃন্দাবন ঘুরতে গিয়েছেন। বছর পাঁচেক আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে বাবা-মাকেও নিয়ে আসেন কিঙ্কর। তাঁরা বর্তমানে বাড়িতে নেই।
এদিকে, এদিন সকালে বারাসতের সঞ্জীব সরকার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁর বাড়িতে কার্যত মধ্যরাতেই হানা দিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সকাল পর্যন্ত চলে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বর্তমানে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাড়ির অদূরেই তাঁর অফিস। আধিকারিকরা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অফিসেও তল্লাশি চালান। পরে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে এনআইএ। কেন এনআইএ এই ব্যবসায়ীদের বাড়়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন, সে ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ট করেননি।