Kali Puja 2023: মাতৃ প্রতিমা এখানে জিভহীন-অবিবাহিতা, ‘একদিনের’ কালীর ইতিহাস জানেন?

Saumav Mondal | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 08, 2023 | 1:50 PM

Kali Puja 2023: বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২নং ব্লকের ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়া শ্মশান কালী পূজার সূচনা করেছিলেন ধান্যকুড়িয়ার ওই তিন জমিদার। বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে শ্মশান কালী পুজিত হয়ে আসছেন কয়েকশো বছর ধরে।

Kali Puja 2023: মাতৃ প্রতিমা এখানে জিভহীন-অবিবাহিতা, একদিনের কালীর ইতিহাস জানেন?
বসিরহাটে কালী পুজো
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বসিরহাট: বাংলার ইতিহাসে ধান্যকুড়িয়া জমিদারদের কথা কে না জানে! তিন জমিদার অর্থাৎ সাউ, বল্লভ এবং গাইনরা সমগ্র বসিরহাট সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় জমিদারি করেছেন সেই মোঘল আমল থেকে। তাঁদের প্রচলিত দুর্গাপুজো সর্বজনবিদিত। কিন্তু তাঁরা যে এক কালী পুজোরও সূচনা করেছিলেন সে কথা কিন্তু অনেকেরই অজানা।

বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২নং ব্লকের ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়া শ্মশান কালী পূজার সূচনা করেছিলেন ধান্যকুড়িয়ার ওই তিন জমিদার। বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে শ্মশান কালী পুজিত হয়ে আসছেন কয়েকশো বছর ধরে। এখানকার কালী প্রতিমা শ্যামা পূজার দিন সকালেই মন্দিরে অধিষ্ঠীত হন। আবার রাতে পুজোর পরে ঠিক ভোরেই একদিনের মধ্যেই তাঁকে পুনরায় বিসর্জন দেওয়া হয় বিদ‍্যাধরী নদীতে। এলাকাবাসীদের কাছে তাই তিনি ‘একদিনের কালী’ নামেও পরিচিত।

এই প্রতিমার বিশেষত্ব যে, এই কালীর নিচে থাকেন না মহাদেব। ফলে তার জিভও বার করা অবস্থায় থাকে না। কারণ এলাকাবাসীরা জানান, “এই মা নাকি আইবুড়ো অর্থাৎ অবিবাহিত। মহাদেবের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে রূপ নিয়েই এখানকার কালীর আগমন ঘটে। প্রতিবছর কালী পূজার দিন আশপাশের ধান্যকুড়িয়া, কচুয়া, আড়বেলিয়া ও বাদুড়িয়া সহ বসিরহাট ও কলকাতা এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।

বিশেষ করে যে সমস্ত পরিবারের পরিজনদের এই মাটিয়া শ্মশানে দাহ করা হয় সেই পরিবারের সদস্যরা, তাদের পরিবার ও পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায় এখানে পুজো দেন। অনেকে আবার মানতও করেন। তাঁদের বিশ্বাস মাটিয়া শ্মশানের এই কালী অত্যন্ত জাগ্রত। জমিদারি প্রথা লোপ পাওয়ার পর থেকে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ উদ্যোগী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো করে আসছেন। যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য রূপ সে কথা বলাই বাহুল‍্য। স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন, “সুন্দরবনকে বাঁচাতে সেই সময় এক সাধু পুজোয় বসেছিলেন। তখন এখানে এত বসতি ছিল না। বাঘ ঘোরাফেলা করত। পুজোর দিন বাঘ আসত। সেই সময় থেকেই এই পুজোর প্রতিষ্ঠা।”2

Next Article