উত্তর ২৪ পরগনা: ট্যুর ট্রাভেলসের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিবেশীরা তাঁকে সেই পরিচয়েই জানতেন। সাজানো গোছানো বিশাল বাড়ি। মধ্যরাতে সেই বাড়ির সামনেই এসে দাঁড়িয়েছিল দুধ সাদা গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে নামেন কয়েকজন আধিকারিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। যিনি বেরোন, তাঁকে একটা কাগজ দেখান। তারপর গড়গড় করে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েন। তখনও পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা বুঝতেও পারেননি ঠিক কী হচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। পরে জানতে পারেন, ব্যবসায়ী নাকি যুক্ত মানব পাচারের সঙ্গে! বারাসতের নবপল্লিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালালেন NIA আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতে নবপল্লির ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশ পল্লি ছায়ানট অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেবের বাড়িতে চলে NIA-এর তল্লাশি অভিযান।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তবে এনআইএ প্রতিনিধিরা তদন্তের স্বার্থে এখনও পর্যন্ত কিছু বলতে চাননি। সঞ্জীব দেবের স্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ির বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁরা বেশ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন।
বছর পঁয়তাল্লিশের সঞ্জীব দেব পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাড়ির অদূরেই তাঁর অফিস। আধিকারিকরা ব্যবসায়ীকে নিয়ে তাঁর অফিসেও তল্লাশি চালান বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তো ভাবতেও পারছি না, এরকম কিছু হতে পারে। ব্যবসা করতেন জানি। ভালই টাকা পয়সা রয়েছে। আমাদের সঙ্গেও ভাল ব্যবহার করতেন।”
ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার সহ নাশকতা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। সূত্রের খবর, এই পর্যটন ব্যবসার আড়ালে এই ব্যবসায়ী কোনও ব্যক্তিকেও ওপারে পাচার করে থাকতে পারেন। সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এনআইএ আধিকারিকরা ওই ব্যবসায়ীকে নিয়ে তাঁর অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন।