হাবড়া: বিকাল গড়িয়ে তখন সবে সন্ধ্যা নামতে শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে ঝিঁঝির ডাক। ধীরে ধীরে ঘন অন্ধকারে ডুব দিতে শুরু করেছে চরাচর। ঠিক তখনই বাঁশ বাগানের মধ্যে আপন মনে হাঁটছিলেন তিন বন্ধু। কিন্তু, কে জানত পায়ের সামনেই পড়ে রয়েছে এমন এক জিনিস যা দেখে হাড়হিম হয়ে যাবে তাঁদের। বাঁশ বাগানের মধ্যে হেঁটে যাওয়ার সময়েই আলো-আঁধারির মধ্যে তাঁদের চোখে পড়ে নীচে কিছু যেন একটা পড়ে রয়েছে। চকচকও করছে। চকরা-বকরা দাগও রয়েছে। তবে দূর থেকে দেখে তাঁর প্রথম ওটা কী জিনিস সেটা ঠিক ঠাহর করতে পারেননি। কাছে যেতেই চোখ কপালে ওঠে সকলের।
টর্চের আলো ফেলতেই চক্ষু-চড়কগাছ। আরও বেশি চকচক করে ওঠে জিনিসটি। নীচু হয়ে মাটিতে ঝুঁকতেই দেখা যায় শুয়ে রয়েছে আস্ত একটা পাইথন সাপ। আকারে প্রায় ১৫ ফুটের কাছাকাছি। গ্রামের বাঁশবাগেন এ দৃশ্য দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি কেউ। ধীরে ধীরে ধাস্তত হতেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন তিন যুবকই। তাঁদের চিৎকারেই ছুটে আসেন গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণকাটি এলাকায়। দৈত্যাকারী সাপটি দেখতে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার মানুষরাও। রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড বেধে যায়। খবর যায় হাবড়া থানায়।
এমনকী সাপ দেখতে এত মানুষের ভিড় হতে থাকে যে দড়ি দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। খবর যায় বন দফতরে। কিন্তু, গ্রামের মধ্যেই এতবড় পাইথন কোথা থেকে এল তা ভেবেই শিউরে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের হাতে। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমাদের বাড়ির পিছনে একটি বাঁশ বাগান রয়েছে। ওখান দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। আজ বিকালে এলাকার কিছু যুবক ওখান দিয়ে যেতে গিয়ে প্রথম সাপটিকে দেখে। তারপরই আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। গিয়ে দেখি প্রায় ১৫ ফুটের একটা পাইথন। আমরা সাড়ে ৬টা নাগাদ সাপটিকে উদ্ধার করি। তারপরই পঞ্চায়েতে খবর দিই। বন দফতরেও খবর দেওয়া হয়।”