উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট (West Bengal elections 2021) মিটলেও হিংসা অব্যাহত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর-জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি চলছে। সোমবার রাতে মুহূর্মুহূ বোমার আওয়াজে কেঁপে উঠল শ্যামনগরের ফিডার রোড ও গাঙ্গুলি পাড়া এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এই উত্তেজনা। যদিও শাসকদল গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ।
অভিযোগ, সোমবার রাতে নোয়াপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন রায়ের বাড়িতে বোমাবাজি হয়। একইসঙ্গে ফিডার রোডে বোমা পড়ার শব্দও শোনা যায়। ভয়ে, আতঙ্কে কাঁপতে থাকেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ নোয়াপাড়া অঞ্চলের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক শুভরঞ্জন সিংয়ের বিরুদ্ধে।E
নীলাঞ্জনের কথায়, “ফিডার রোডে সোমবার রাতে বোমা পড়ার শব্দ শুনি। অত রাতে বলে ঘর থেকে বের হইনি। ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমার বাড়ির গেটে একটা বোমা পড়ে। আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি শুভরঞ্জন সিংয়ের দলবলকে দেখি। ও তৃণমূল করে ঠিকই। তবে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত। যেহেতু আমরা এখানে ভোটের দিন ক্যাম্প করেছিলাম তাই এলাকায় বোমাবাজি। আর ক্যাম্পের দায়িত্বে আমি থাকায় আমার বাড়িতেও বোমা মারা হল।”
আরও পড়ুন: বড় খবর! ছোঁয়াচ এড়াতে আপাতত কাউকে হাজিরা দিতে হবে না, পাঠানো হবে না নোটিসও, বলল সিবিআই-ইডি
যদি শুভরঞ্জন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “কোনও দলাদলির ব্যাপারই নয়। রাত সাড়ে ১২টার সময় বোমাবাজিটা আমার বাড়িতেই হয়। তারপর শুনি আরও বোমা পড়েছে। আমরা সবাই একই দল করি। এসব বিজেপি করছে। কেউ কিছু ভেবে নিলেই তো হবে না। আমরা সকলেই তৃণমূল করি। আমাদের সহকর্মীদের বাড়িতেই এমন হয়েছে।” এই বোমাবাজির ঘটনায় জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে নোয়াপাড়া বিধানসভা জুড়ে।