Barrackpore: গল্পে ‘মশগুল’ নার্সদের কাছে জল চেয়েছিলেন, রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ হাসপাতালে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 20, 2022 | 7:11 PM

Barrackpore: বাড়ির লোকেরা এসেছিলেন রঞ্জিতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ই তাঁরা দেখেন, রঞ্জিতকে মারধর করা হয়েছে। এমনই দাবি ওই রোগীর পরিবারের লোকেদের।

Barrackpore: গল্পে মশগুল নার্সদের কাছে জল চেয়েছিলেন, রোগীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ হাসপাতালে
কী অভিযোগ করছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা

Follow Us

ব্যারাকপুর: এবার হাসপাতালের (Hospital) নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। চিকিৎসাধীন এক রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠল নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের (Barrackpore) এক বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনার জেরে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি। জানা গিয়েছে, পায়ের চিকিৎসার জন্য রঞ্জিত সিং নামে এক যুবক ১৬ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। জগদ্দলের বাসিন্দা মাঝবয়সি ওই যুবকের সঙ্গে কী এমন হয়েছিল, যা নিয়ে পরিস্থিতি এতদূর গড়াল?

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ১৭ তারিখ পায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর ফোন করে জানানো হয়, হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই মতো বাড়ির লোকেরা এসেছিলেন রঞ্জিতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই সময়ই তাঁরা দেখেন, রঞ্জিতকে মারধর করা হয়েছে। এমনই দাবি ওই রোগীর পরিবারের লোকেদের। জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত নার্সদের কাছে জল চেয়েছিলেন ওই রোগী। সেখান থেকেই বাকবিতন্ডার সূত্রপাত। আর এরপরই হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী রঞ্জিতকে মারধর করে বলে অভিযোগ।

রঞ্জিত সিং-এর পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, রঞ্জিত হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছিল। সেই সময় কর্তব্যরত নার্সদের কাছে পানীয় জল চেয়েছিলেন। কিন্তু নার্সরা সেই সময় জল দেওয়ার বদলে গল্প করছিল বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকির পরেও কোনও লাভ না হওয়ায় রঞ্জিত একটু উঁচু গলাতেই নার্সদের ডেকেছিল। আর এরপরই কর্তব্যরত নার্সদের মধ্যে একজন এসে রঞ্জিতের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। রঞ্জিত প্রতিবাদ করায় ওই নার্স একজন নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকে নিয়ে আসে সেখানে এবং তারপর শুরু হয় বেধড়ক মারধর। ঘটনার জেরে টিটাগড় থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই রোগীর পরিবারের লোকেরা। যদিও ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। কর্তৃপক্ষের কেউ কোনও মুখ খুলতে চাইছেন না। সংবাদ মাধ্যমকে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতেও বাধা দেওয়া হয়।

Next Article