গোপালনগর : মাকে মারধর করার অভিযোগে ছেলে এবং বৌমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার শেরপুরে। ধৃতদের নাম বিষ্ণুপদ দাস ও তার স্ত্রী শুভলক্ষ্মী দাস। ধৃতদের বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে গোপালনগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাড়ির নিকাশি ড্রেন নিয়ে শাশুড়ি বৌমার মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই দুর্গা দাসের বড় বৌমা শুভলক্ষ্মী তাঁর ওপরে হাতুড়ি নিয়ে চড়াও হয়। প্রচন্ড মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই লোহার হাতুড়ি দিয়ে দুর্গা দাসের পুত্রবধূ তাঁর মাথায় আঘাত করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বৌমার হাতে এমন প্রহারে গুরুতর চোট পান দুর্গা দাস। মারধরের জেরে রক্তাক্ত হয়ে যান তিনি। দুর্গা দাসের দু’হাতে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। দুর্গা দাসের দাবি, শুধু বৌমা নয়, তাঁর ছেলেও মাঝেমধ্যেই তাঁকে মারধর করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দাস পরিবারে মাঝে মধ্যেই কম বেশি ঝগড়াঝাটি লেগে থাকে। তবে বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তাঁরা।
দুর্গা দাস জানিয়েছেন, ড্রেন নিয়ে কথা বলতে গেলেই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাঁর বৌমা। এমনকী ভাইয়ের ডেকে নিয়ে এসে জেল খাটানোর হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ প্রৌঢ়ার। বাড়িতে মিস্ত্রিদের কাজের জন্য পেরেক তোলার জন্য হাতুড়ি রাখা ছিল। বচসা বাড়তেই দুর্গা দেবীর পুত্রবধূ সেটি দিয়ে আঘাত করেন প্রৌঢ়া। যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন তিনি। তখনও বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কয়েক মুহূর্ত পরেই দেখেন গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। গলাও চেপে ধরেছিল বলে অভিযোগ। এর আগে জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়েও বচসা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। ছেলে ও পুত্রবধূর যাতে উচিত শিক্ষা হয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বুধবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।