FD in Bank: ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে টাকা ‘উধাও’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বনগাঁয়
Bongaon: ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের একাংশের দাবি, তাঁদের ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁরা টাকা তুলতে পারছেন না। গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
বনগাঁ: প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সম্প্রতি কীভাবে টাকা খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে লাগাতার সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে টিভি নাইন বাংলা। আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসছে। বায়োমেট্রিক লক রেখেও রেহাই পাচ্ছেন না অনেকে, এমন তথ্যও উঠে আসছে। আর এসবের মধ্যেই এবার আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে। ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে নাকি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে! এমনই অভিযোগ তুলছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা।
বনগাঁ থানা এলাকার কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুরাতন বনগাঁ এলাকা। সেখানেই রয়েছে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা। এলাকার মানুষজন তাঁদের কষ্ট করে রোজগার করা টাকা ওই ব্যাঙ্কে জমিয়েছিলেন। ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। কিন্তু এখন তাঁদের অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের একাংশের দাবি, তাঁদের ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁরা টাকা তুলতে পারছেন না। গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তেমনই।
আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশকর্মীরা তাঁদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা অবরোধ তুলে নেন। তবে এদিনের এই বিক্ষোভ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
তবে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানাচ্ছেন, ব্যাঙ্কের থেকে তাঁদের বলা হয়েছে আগের যিনি ম্যানেজার ছিলেন ওই ব্যাঙ্কে, সেই সময়েই এই গোলমাল শুরু হয়েছে। সেই নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। ফলে ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও দিতে দেরি হবে বলে ব্যাঙ্কের থেকে জানানো হয়েছে বলে দাবি বিক্ষুব্ধদের। তবে এদিনে পুলিশ আসার পর দু’পক্ষ আলোচনায় বসেছিল এবং তিন মাসের মধ্যে ব্যাঙ্কের থেকে ওই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।