উত্তর ২৪ পরগনা: আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনের মামলায় নতুন তথ্য উঠে আসছে। ঘটনায় ধৃত আনোয়ার হোসেনকে জেরা করেছে পুলিশ। আর তাতেই পুলিশের হাতে নতুন তথ্য। হাটে ক্রেতা সেজে দুষ্কৃতীরা ঘটনার দিন লুকিয়ে ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে খুনের অনেক আগে থেকেই সেই হাটে আততায়ীরা লুকিয়ে ছিল। এখনও আরও তিন অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবারই ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না পুলিশ।
আপাতত আমডাঙা পঞ্চায়েত তালাবন্ধ। একটি মাত্র তালা খোলা। পঞ্চায়েত অফিস শুনশান। এদিন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্তা ঘটনাস্থলে যান। এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কোন পথে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, কোন পথে বোমাবাজি করতে করতে পালিয়ে যায়, সবটাই ঘুরে দেখেন তিনি। আজই থানায় পুলিশ সুপার-সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম বড় হাট কামদেবপুরের হাট। অভিযোগ, এই হাট দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত বোদাই ও আমডাঙার লড়াই দীর্ঘদিনের। কারণ, এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার মাঝখানে পড়ে কামদেবপুর হাট। প্রায় ১ হাজারের বেশি দোকান আছে এখানে। এখানকার আয় থেকে দুই পঞ্চায়েতেরও কোষাগার ভরে। ফলে এই হাটে যার দখল বেশি থাকবে, তার লাভও যে বেশি হবে এমনই অভিযোগ এলাকায়। আমডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন রূপচাঁদ মণ্ডল। অন্যদিকে তোয়েব আলি মণ্ডল বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার নেতা। অভিযোগ, এই দু’জনের মধ্যে লড়াই ছিল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় এখনও অবধি একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি তিনজনও খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে। তবে যে চারজনের নামে এফআইআর হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার পরই গোটা এলাকা পুলিশ ঘিরে ফেলে। আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি পুলিশ হতে দেয়নি। তদন্তে একজন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সে। আমাদের তদন্তের স্বার্থেই আমরা এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না।”