পানিহাটি : জামিন পেয়েছেন স্বামীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত ব্যক্তি। স্বামীর সুবিচার চেয়ে ও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে এবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসের দ্বারস্থ হলেন পানিহাটির নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। বুধবার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। পুলিশের তরফে তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এ দিন হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও কথা বলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পানিহাটি আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তের মৃত্যু হয় মাস কয়েক আগে। সম্প্রতি সেই খুনের মামলায় জামিন পান বাপি পণ্ডিত। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি স্ত্রী মীনাক্ষী। সে ব্যাপারে এ দিন তিনি কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। পাশাপাশি জামিনের বিরোধিতা করা প্রসঙ্গেও কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, স্বামীর হত্যার বিচার চান তিনি। জামিনের বিরোধিতা করে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী জানান, কমিশনার যে ভাবে বলবেন, সে ভাবেই তাঁরা এগোবেন।
গত সোমবার বাপি জামিন পাওয়ার পর রাতে আগরপাড়া, তেঁতুলতলা জুড়ে বিটি রোড অবরোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তের জামিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। অনুপম দত্তের বৃদ্ধা মাও এই খবর পেয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
এ দিন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার জানান, মীনাক্ষী দত্তের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই অনুপম দত্ত খুন হন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। অনুপম যখন বাইকের পিছনে বসেছিলেন, সেই সময় এক ব্যক্তি খুব কাছ থেকে গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুপমের। যিনি গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁকে জেরা করেই বাপি পণ্ডিতের নাম উঠে এসেছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আর ৬ মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন সেই বাপি।