বেলঘরিয়া: ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল আবাসন। তার মধ্যেই হদিশ কোটি-কোটির টাকার। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার ইডি উদ্ধার করেছে নগদ প্রায় ২১ কোটি টাকা। এরপর তদন্ত যত এগিয়েছে, চোখ কপালে উঠেছে দুঁদে গোয়েন্দাদের। শুধু ডায়মন্ড সিটি নয়, বেলঘরিয়াতেও হদিশ মিলেছে অর্পিতার আরও দু’টি ফ্ল্যাটের। তবে সূত্র বলছে, হিসেব এখানেও শেষ নয়। অর্পিতার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে আরও সম্পত্তি।
সূত্রের খবর, বরাহনগর টবিন রোডে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে একটি নেল পার্লার। সেই পার্লারে মাসে একবার করে আসতেন তিনি। এছাড়া আরও দু’টি নেল পার্লার রয়েছে তাঁর। এই পার্লার দু’টির মধ্যে একটি অবস্থিত দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বরানগর টবিন রোডের এই নেল পার্লারের পৌরসভার ট্রেড লাইন্সেস অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দোকানের কর্মরত কর্মীরা।
এই বিষয়ে দোকানের কর্তব্যরত এক কর্মী বলেন, ‘এই পার্লারের মালিক আমরা যতদূর জানি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে এখানে আসতেন। মোট দু’জন কাজ করতাম এখানে। আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতেন। আমরা জানি ম্যামের দু’টি পার্লার রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিলাসবহুল বাড়িতে ইডি হানা দিয়ে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা এবং বিদেশি মুদ্রাও। শনিবার সকালে ইডির আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন তাঁকে।
এরপরই তদন্ত এগোয়। সামনে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। শুক্রবার রাতেই ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সকালে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ২১ কোটি। ২০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোটের পাহাড়। সেই টাকা গুনতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় আধিকারিকদের।