উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ির সামনে বিউটি পার্লার। ব্যবসার প্রচারের জন্য লিফলেট বিলি করা হয়েছিল। সেখানে লেখা ফোন নম্বর। আর সেই নম্বরই নজরে পড়েছিল। রাতবিরেতে সেই নম্বরেই ফোন করে নোংরা কথাবার্তা। অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ। এমনকি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই নিগৃহীতা বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন অভিযুক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিউটি পার্লারের ব্যানার থেকে ফোন নম্বর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পার্লারের মালকিন ও তাঁর কর্মচারীদের উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন বালা। কুপ্রস্তাব দেওয়া থেকে শুরু করে অপহরণ চেষ্টা, এমনকি নারী পাচরের অভিযোগও রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে মিঠুনের বিরুদ্ধে। মিঠুনের মা মাধুরি বালা সিন্দ্রনী গ্রামপঞ্চায়েতের মাগুরকোণা গ্রামের তৃণমূলের সদস্যা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আষাঢ়ু বাজার থেকে পার্লারের দোকান বন্ধ করে পাশে একটা কাজে যাচ্ছিলেন পার্লারের বছর আটত্রিশের মালকিন। অভিযোগ, সেই সময় বাজারের কাছে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশে থেকে তাঁকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মিঠুন। মহিলা চিৎকার করলে তাঁকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। মহিলার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে মিঠুনকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় উত্তম মধ্যম।
সেই মারধরের মুহূর্তের ভিডিয়োও তুলে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। পরবর্তীতে মিঠুনের নামে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ ।
যদিও মিঠুন বালার বক্তব্য, “আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । আমি কথা বলতে গেলে আমাকে আচমকা মারধর করা শুরু করে । আমার বিরুদ্ধে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে । আমার মা যেহেতু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, সেই আক্রোশ থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে।”
এই বিষয়ে সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মাধুরী বালা বলেন, “রাজনৈতিক কারণে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে । পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমার ছেলে দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”