বনগাঁঁ: বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির পর থেকে ভারত তথা বাংলার সীমান্তেও যে এর প্রভাব পড়েছে তা এখন সকলের জানা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অত্যন্ত কড়া এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BSF)। তবে বিএসএফ-এর ভূমিকা স্বস্তি দিতে পারছেন না বনগাঁ পুরসভার পৌরপ্রধানকে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠ।
গোপালবাবুর দাবি, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিএসএফ এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়। বনগাঁ সীমান্ত লাগোয়া শহর। যার কারণে সেখানে বাড়ছে অপরাধমূলক কাজ। বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা বিএসএফ-এর এই নিষ্ক্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পৌরপ্রধানের এও বক্তব্য, সীমান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। প্রায় কুড়ি কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাটাতার নেই। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জওয়ান। মাত্র চার ব্যাটেলিয়ান জওয়ান সীমান্ত পাহারার কাজ করছেন।
গোপালবাবু সংশ্লিষ্ট চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, মাল্টি পারপাস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা বনগাঁ এসে বিভিন্ন হোটেলে থাকছে। তারা এখান থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করছে। দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সমস্ত বাংলাদেশের ওদের উপর কড়া নজরদারির প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, বিএসএফ জওয়ানরাও ৪৫ টি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছেন। জওয়ানদের নিজস্ব ঘর থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা কেন ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছেন? তা স্পষ্ট নয়। দেশের সুরক্ষার কথা ভেবে রাজ্য এবং কেন্দ্রকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং পুলিশকেও বর্ডার এলাকায় আরো বেশি সজাগ হতে হবে বলে মত গোপাল শেঠের।
জানা গিয়েছে, বনগাঁ পৌরসভার পৌর প্রধান গোপাল শেঠ এই সমস্ত অভিযোগ সম্মিলিত চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায, রাজ্যের মুখ্য সচিব, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক সহ বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে দিয়েছেন। যদিও গোপাল বাবুর এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বনগাঁ সাংঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। দেবদাস বলেন, “ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএসএফকে তার কাজ শেখাতে হবে না। তারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে বলে আজ আমরা নিশ্চিন্তে সীমান্ত শহরে আছি। আজকে ওঁর দিদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জমি দিচ্ছে না বলে বিএসএফ ফেন্সিংটা দিতে পারছে না। উনি জমি দিচ্ছে না কারণ, জমি দিলে ফেনসিং হবে। তাহলে ওপার থেকে জিহাদিরা এখানে এসে ভোটার কার্ড আধার কার্ড করে ভোট দিতে পারবে না। বিএসএফদের থাকার চিন্তা ভাবনা করতে হবে না। ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের থাকার জন্য নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন।”