বাগদা: আসন ৪৪। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল তৃণমূল আগেই ৩৫টি আসন জিতে গিয়েছে। বাকি ৯ আসনে শনিবার ‘নিয়মরক্ষা’-র ভোট হল। বাগদায় সমবায় নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, প্রার্থী দিতে ব্যর্থ বিজেপি। আর বিজেপির দাবি, তৃণমূলের ভয়ে প্রার্থী দিতে পারেনি তারা।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা লার্জ সাইজড প্রাইমারি কো-অপারেটিভ এগ্রি ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডে নির্বাচন হল শনিবার । ৪৪ আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসনে নির্বাচন হল। ৩৫ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি-সহ বিরোধীরা। ভোটের আগেই ৩৫ আসনে জয়লাভ করে বোর্ড গঠন নিশ্চিত করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কড়া পুলিশি পাহারায় ৯ আসনে ভোট হয়।
এই নিয়ে বাগদা ১ নম্বর মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গণেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ভয়ে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। ১১ বছর আগে শেষ ভোট হয়েছিল। সেই ভোটে সন্ত্রাস করে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি। প্রার্থী না দিতে পারা সাংগঠনিক দুর্বলতা কি না সে প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দাবি করেন, ১১ বছর ভোট না হওয়ার কারণে বাগদা কো-অপারেটিভে তাঁদের সদস্য সংখ্যা তেমন নেই। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণেই তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা বলেন, তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৫ আসনে জয়লাভ করেছেন। এখানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে কিছু নেই। সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেন, কয়েকদিন আগে ডহরপোতা কো-অপারেটিভ নির্বাচনে গোহারা হেরেছে বিজেপি। সেই কারণেই এখানে প্রার্থী দিতে পারেনি।