বনগাঁ: গর্ভেই মৃত্যু হয়েছিল সন্তানের। তারপর থেকেই অনবরত পেটে ব্যথা। সেই কারণে পরিবারের লোকজন ভর্তি করে নার্সিংহোমে। এরপর সেই নার্সিংহোম আবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ওই রোগীকে স্থানান্তরিত করে। তবে মৃত্যু হয় মহিলার। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। সেখানকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পাল ভাগ্নীর মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমকে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের নাম অন্তরা পাল। বাড়ি অশোকনগরের সেনডাঙায়। অন্তরাদেবী তিন-চার মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তবে প্রসবের আগেই মারা যায় বাচ্চা।
তবে সাম্প্রতিক খুব পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে ৬ নভেম্বর বনগাঁর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক মলয় সাহা তাঁকে ভর্তি করিয়েছিল বলে খবর। এরপর শনিবার সকালে অন্তরার অবস্থা আরও গুরুতর হয়। পরবর্তীতে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়। সেই মতো বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় অন্তরার।
এই বিষয়ে অন্তরা পালের স্বামী পলাশ পাল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। শুধু তাই নয়, ভাগ্নির মৃত্যুর উপযুক্ত বিচার চেয়ে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্তরা পালের মামা বিশ্বজিৎ পাল ।
তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছে নার্সিংহোমের মালিক ডাক্তার মলয় সাহা। তিনি জানিয়েছেন নার্সিংহোমে গাফিলতির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাচ্চা আগেই মারা গিয়েছিল। রোগীর পরিবার চিকিৎসা করবার জন্য জানিয়েছিল। আমি তাকে অন্য ডাক্তার দেখাতে বলেছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ।