AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladeshi: যশোরের প্রিয়া খাতুন দমদমে এসে হয়ে গেল ‘অদিতি পাত্র’, ফ্ল্যাট জুড়ে যা চলছিল… ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের

Bangladeshi: যে ফ্ল্যাটে ওই মহিলা থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত। ভাড়ায় থাকত ওই পরিবার। কিন্তু কেউ টেরই পায়নি কিছু।

Bangladeshi: যশোরের প্রিয়া খাতুন দমদমে এসে হয়ে গেল 'অদিতি পাত্র', ফ্ল্যাট জুড়ে যা চলছিল... ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 29, 2025 | 5:51 PM
Share

ঘোলা: আর পাঁচজন সাধারণ পরিবারের মতোই থাকত তারা। ছিল এক সন্তান। তাকে মাঝেমধ্যে কেয়ারটেকারের কাছে রেখে যেতেন ওই মহিলা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তাও বলছেন তিনি। তবে সেই বাড়ির ভিতরে যে এত বড় কারবার চলত, তা টেরও পাননি আবাসনের বাসিন্দারা। পুরো ঘটনায় আতঙ্কিত পানিহাটির বাসিন্দারা।

বেশ কয়েকদিন ধরেই ফ্ল্যাটে বাইরের লোকজনের আনাগোনা চলছিল। এসব দেখেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশকে বিষয়টা জানান। তারপরই সব খোলসা হয়ে গেল। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার ওই এলাকার আবাসন থেকে অদিতি পাত্র নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাঁকে গ্রেফতার করার পর তাঁর বাড়িতে ঢুকে পুলিশের চোখ কপালে। ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে একগুচ্ছ আধার কার্ড, পড়ে রয়েছে প্রচুর ব্যাঙ্কের চেকও। এরপরই স্পষ্ট হয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ব্যবসা চালাতেন ওই মহিলা। এই সূত্র ধরে বড় চক্রের হদিশ পাওয়া যেতে পারে সন্দেহ ঘোলা থানার পুলিশের। পানিহাটির বাসিন্দারা বলছেন, ‘ইনি আবার আর এক জ্যোতি মালহোত্রা নয় তো?’

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল দমদমের এক যুবকের। তাঁর নাম অনুপ পাত্র। আদতে ওই মহিলা বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে যশোর থেকে সোজা দমদমে চলে আসেন তিনি। অদিতির আসল নাম প্রিয়া খাতুন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কলকাতায় এসে তিনি অদিতি পাত্র নামে আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেন। স্বামীর নাম হিসেবে অনুপ পাত্রের নাম উল্লেখ করা হয়। অনুপের দিঘায় হোটেল আছে।

পরে পানিহাটির বিবেকানন্দ পার্কে রিয়া রায় এবং কৌশিক রায়ের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন অদিতি ও অনুপ। আজ, পুলিশ অদিতির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আধার কার্ড এবং কয়েকটি ব্যাঙ্কের বই উদ্ধার করেছে। এদিন পুলিশ সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছেন।