বারাসত : গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি! এমন অভিযোগেই ক্লোজ করা হল মহিলা থানার এসআই-কে। একদিকে কেষ্টপুর জোড়া খুন-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। অভিযোগকারিণী পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার পর অভিযুক্ত সাতজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৬ অগস্ট একটি অভিযোগ দায়ের হয় বারাসত মহিলা থানায়। অভিযোগ ছিল মোট সাতজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর প্রায় দু সপ্তাহ কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্যাতিতার দাবি, পুলিশ কোনও তদন্তই করেনি এতদিন ধরে। এরপর তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলে তৎপর হয় পুলিশ। যেহেতু এই মামলায় আইন অনুযায়ী, আগে গ্রেফতার করা হয়, সেই কারণে এসআই বর্ণালী দাস-কে ক্লোজ করা হয়েছে এ দিন।
ঘটনাটি বারাসত স্টেশন চত্বর এলাকায় ঘটেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, একই নাচের গ্রুপে ছিলেন ওই নির্যাতিতা মহিলা ও অভিযুক্ত এক যুবক। ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তদের শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দাবি, সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণেই তাঁদেরকে এ ভাবে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিবাহিত ওই যুবকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতা সম্পর্ক রাখতে জোর করতেন বলে দাবি ওই পরিবারের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেষ্টপুরে দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় পুলিশ গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দু সপ্তাহ ধরে অতনু ও অভিষেক নামে ওই দুজনের দেহ মর্গে পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ তা জানতে পারল না, কেন খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে এত সময় লাগল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর নির্দেশের পরই ওই ঘটনায় বাগুইআটি থানার ওসি ও আর এক পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়।