উত্তর ২৪ পরগনা: কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে বেড নিশ্চিত না করেই বারাসত মেডিক্যাল কলেজ থেকে রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, এই অভিযোগ করছেন রোগীর আত্মীয়রা।
জানা যাচ্ছে, বামুনগাছির বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জ্বর ও শরীরে কাঁপুনি নিয়ে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি, তারপরই তাঁদেরকে বলা হয় আরজিকরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে তাঁদের অভিযোগ আরজি করে বেড রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত না করেই বারাসত মেডিক্যাল কলেজ তাঁদেরকে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
যদিও হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডলের দাবি, “প্রচণ্ড রোগীর চাপ রয়েছে। ওই রোগী বেড পাননি, ফ্লোরে ছিলেন। বাড়ির লোকেরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে যখন ট্রান্সফার নিয়ে যায় তখন তাকে LAMA বলে। এই পদ্ধতিতে তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন। কলেজ থেকে খুব প্রয়োজন না হলে স্থানান্তরিত করে না। তবে ওই রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ তাদের কোনওরকম কথাই না শুনেই মোজাম্মেল হককে ট্রান্সফার করা হয়েছে।” আরজি করে গিয়ে তিনি ভর্তি হতে পারে না সেটা যখন বড় প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যেই পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরু হচ্ছে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জুড়ে শুরু হয়েছে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। মঙ্গলবার থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। গতকাল প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল থেকে অন্য কোন হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরিত করা হয়নি। তবে গতকাল তপন গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে একজন রোগী বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে রোগী রেফার করায় রোগীকে ভর্তি করাতে কোন রকম সমস্যা হয়নি রোগীর পরিবারের।