বনগাঁ: বনগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। পাল্টা নাবালিকাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলরের স্বামী। সালিশিসভা করে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন বলে জানান।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের জয়পুর এলাকায় সোমবার কালীপুজোর নিরঞ্জনের সময় ওই এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে ঝামেলা হয় কয়েকজন যুবকের। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ওই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে শুভঙ্কর ঘোষের উপরে চড়াও হন কাউন্সিলর শিখা ঘোষ, তাঁর স্বামী উত্তম ঘোষ-সহ তাঁর অনুগামীরা। শুভঙ্কর ঘোষকে অন্য বাড়িতে লুকিয়ে রাখলে সেখানেও চড়াও হন তাঁরা। ইট তুলে মারতে যান কাউন্সিলরের স্বামী। এই বিষয়ে কাউন্সিলর, তাঁর স্বামী ও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শুভঙ্কর ঘোষ।
অন্যদিকে শুভঙ্কর ঘোষ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক নবালিকাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও শুভঙ্কর ঘোষের বৌদি প্রিয়াঙ্কা ঘোষ বলেন, “বিনা কারণে কাউন্সিলর স্থানীয় একজনের কথা শুনে বিচার করেন। আমরাও তো তাঁকে ভোট দিয়েছি। আজ আমাদের বাড়ির উপরে চড়াও হয়েছেন। বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন। ইট দিয়ে মারতে গিয়েছেন কাউন্সিলরের স্বামী। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”
অন্যদিকে, এই বিষয়ে বনগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাউন্সিলরের স্বামী উত্তম ঘোষ জানিয়েছেন, “বাইরে ছেলে এসে পাড়ায় ঝামেলা করেছে। সেই কারণে আমি গিয়েছিলাম। আমি এখানে এসে সালিশিসভা করে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।” এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলরের স্বামী বলেন, “আমি ইট নিয়ে তাড়া করিনি। সব মিথ্যে অভিযোগ।” দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ ।