ব্যারাকপুর: তাঁরা প্রত্যেকেই নদিয়া, মেদিনীপুর, বিহারের বাসিন্দা। শনিবার রাতে তাঁরা একসঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেল মালিককে তাঁরা বলেছিলেন, পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তার নথিও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে বিশ্বাসও করে ফেলেছিলেন হোটেল মালিক কর্মীরা। কিন্তু মাঝরাতে যখন পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়ায় হোটেলের সামনে, তখনও হোটের কর্মীরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পরে সেই সব পড়ুয়াদের ঘরে যেতেই পর্দা ফাঁস। তাঁরা তখনও পরীক্ষার আগের রাতে শেষ মুহূর্তে নোটস ঝালিয়ে নিচ্ছেন। পুলিশ গিয়ে সরাসরি তাঁদের প্রশ্ন করতেই বেকায়দায় পড়েন তাঁরা। একসঙ্গে ৩৭ জন ভুয়ো রাজ্য কনস্টেবল পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিশ।
রবিবার রাজ্য কনস্টেবলের পরীক্ষা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে পরীক্ষার্থী এসেছেন পরীক্ষা দিতে। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় পড়েছে সিট। আর সেই পরীক্ষা দিতে বিহার, নদিয়া, মেদিনীপুর-এইসব জেলা থেকে পরীক্ষার্থীরা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
শনিবার রাতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোদপুর কাঁচকল সংলগ্ন একটি হোটেলে অভিযান চালায়। কাঁচকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে ৩৭ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থী ও এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করে খড়দহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত এজেন্ট ও ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড জাল করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলেন। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের সাথে আরও অন্য কোনও বড় মাথা যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে সেই নামটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।