ফাঁকা ক্লাসরুমে নিয়ে যান প্রাক্তন ছাত্রীকে! তারপর স্কুলের দুই কর্মীর নৃশংস কীর্তি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 02, 2021 | 2:30 PM

Basirhat: ওই বধূর চিৎকারে ছুটে যান তাঁর স্বামী ও বাবা। চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারাও স্কুল চত্বরে চলে আসেন। ক্লার্ক ও সাফাই কর্মী ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

ফাঁকা ক্লাসরুমে নিয়ে যান প্রাক্তন ছাত্রীকে! তারপর স্কুলের দুই কর্মীর নৃশংস কীর্তি
ধৃত দুই ব্যক্তি

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলে শংসাপত্র নিতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। অভিযোগ, সে সময় তাঁকে ফাঁকা ক্লাস ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্কুলেরই দুই কর্মীকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল বসিরহাটে। পুলিশ অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।

বছর কুড়ির নিগৃতীর বয়ান অনুযায়ী, বুধবার স্কুলে বাবা ও স্বামীকে নিয়ে শংসাপত্র নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‌সেই সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন না। সে সময় ওই গৃহবধূ ক্লার্কের কাছে যান তাঁর শংসাপত্র নিতে। সেই সময় ক্লার্ক ইয়াৎ মোল্লা তাঁকে একটি ফাঁকা ক্লাস রুমে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই রুমেই নাকি শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পিছন পিছন যান সাফাই কর্মী রবিউল ইসলামও।

গৃহবধূর বাবা ও স্বামী তখন স্কুলের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ, প্রথমে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এক জন। তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন ওই গৃহবধূ। চিত্কার চেঁচামেচি করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর চিত্কার বাইরে পর্যন্ত আসে না। অভিযোগ, ফাঁকা ঘরে তাঁকে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।

ওই বধূর চিৎকারে ছুটে যান তাঁর স্বামী ও বাবা। চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারাও স্কুল চত্বরে চলে আসেন। ক্লার্ক ও সাফাই কর্মী ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদেরকে মারতেও উদ্যত হন অনেকে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে মাটিয়া থানার পুলিশ। ক্লার্ক ও সাফাই কর্মীকে উদ্ধার করে। প্রথমে পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে। পরে বধূ গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। হাই স্কুলের ধৃত দুই কর্মীকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

অভিযোগকারিনীর বয়ান অনুযায়ী, “সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলাম। হেড স্যার ছিলেন না। তাই আমি ক্লার্কের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে বলল ওই ঘরে দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই পিছন পিছন যায় স্কুলের সাফাই কর্মীও। তখনই সন্দেহ হয়। ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ওরা। আমি অনেকক্ষণ চিত্কার করাতে বাবা-বর শুনতে পায়। আমি অনেকক্ষণ চিত্কার করতে থাকি। তা না হলে সর্বনাশ হয়ে যেত।”

তবে স্কুলের ভিতরই কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগকারিনীর বক্তব্যও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সত্যিই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে, নাকি অভিযুক্ত দু’জনকে কোনও কারণে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বক্তব্যও শোনা হচ্ছে। ওই স্কুলে এই ধরনের কোনও ঘটনা আগে ঘটেনি। অভিযুক্তদেরও পাস্ট রেকর্ড সেভাবে নেই। তাই দু’দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: রাতভর বোমাবাজি, অকথ্য গালিগালাজ, জেলায় সিবিআই থাকাকালীন ফের হামলা!

Next Article