Belgharia: প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ, শিক্ষককে রাস্তায় কিল-চড়-ঘুষি, সিগারেট হাতে বেধড়ক মার মদ্যপ তরুণীর
Belgharia Crime: বেলঘরিয়ার নন্দননগরের বাসিন্দা নিরুপম পাল। তিনিই আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা বিষয়টি রাস্তার ধারে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা গিয়েছে। কোনও নির্মাণ কাজের জন্য পুকুর পাড়ে থানইট রাখা ছিল। তারই আড়ালে বসেছিলেন কয়েকজন যুবক ও এক তরুণী।

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ। আর সেই কারণেই একজন শিক্ষককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অভিযুক্ত এক তরুণীও। অভিযোগ, তিনিও মদ্যপান করছিলেন, পাঁচ-ছ জন যুবকের সঙ্গে বসে। তাও দিনেরবেলায় পাড়ার মধ্যেই একটি পুকুরের ধারে বসে। তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, আক্রান্ত অঙ্কন শিক্ষক। আর তার জেরেই মারধরের অভিযোগ। পলাতক অভিযুক্তরা।তদন্তে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
বেলঘরিয়ার নন্দননগরের বাসিন্দা নিরুপম পাল। তিনিই আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা বিষয়টি রাস্তার ধারে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা গিয়েছে। কোনও নির্মাণ কাজের জন্য পুকুর পাড়ে থানইট রাখা ছিল। তারই আড়ালে বসেছিলেন কয়েকজন যুবক ও এক তরুণী। ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত অঙ্কন শিক্ষক নিরুপম পাল তিনি বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর পিছনে আরও একজন ছিলেন। প্রকাশ্যে মদ্যপান করা নিয়েই প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। প্রথমে এক যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নিরুপমের। তার মধ্যেই দৌড়ে আসেন ওই তরুণী। তাঁর এক হাতে তখন জ্বলন্ত সিগারেট। ওই অবস্থাতেই তিনি প্রথমে শিক্ষকের ওপর চড়াও হন। ততক্ষণে তাঁর সঙ্গীরাও ঘিরে ধরেন ওই শিক্ষককে। চলতে থাকে কিল, চড়, ঘুষি।
মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকিও দেন অভিযুক্তরা। ঘটনায় যথেষ্টই আতঙ্কিত অঙ্কন শিক্ষক নিরুপম পাল ও তাঁর পরিবার।।ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের নামে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আক্রান্ত শিক্ষক বলেন, “আমি একটা অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। তখন ভোর ৬টা বাজে। তখনই দেখি ওই ছেলে আর একটা মেয়ে রাস্তার ধারে বসে মদ খাচ্ছেন। ছেলেটি যথেষ্টই মদ্যপান ততক্ষণে করে ফেলেছেন। আমি প্রতিবাদ করি। উঠে এসে ওরা মারা শুরু করে দেয়।”
খবর পেয়ে সকালে আক্রান্ত শিক্ষকের বাড়িতে যান বেলঘরিয়ার স্থানীয় কাউন্সিলর ও টাউন কমিটির প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি বলেন, “আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। কাউন্সিলরদের বলি। যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটাক, আমরা তাদের পক্ষে নই। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করবে।” কাউন্সিলরের বক্তব্য, “শিক্ষক মার খেয়েছে খুব দুঃখের। কিন্তু কেবল শিক্ষক কেন, সাধারণ কেউই যদি প্রতিবাদ করেন, মার খাওয়া অন্যায়। কিন্তু সকাল ৬টায় কে কোথায় বসে মদ খাচ্ছেন, তা তো জনপ্রতিনিধি দেখতে পারবে না। প্রশাসনকে বলেছি, দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

