ভাটপাড়া: গত ১০ মাস ধরে সাম্মানিক হিসেবে যে টাকা পেয়েছেন, সেই টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার কাউন্সিলর জ্যোতি পাণ্ডে। টাকা অঙ্ক নেহাত কম নয়। মোট ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩৯ টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তা নিতে নারাজ পুরসভার চেয়ারম্যান। টাকা নিতে না চাইলেও রীতিমতো জোরাজুরিও করেন তিনি। কাউন্সিলরের বক্তব্য, চেক গ্রহণ না করা হলে তিনি ওই পুরো টাকা পোস্টের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বন্ধ হয়েছে ওই পুরসভার কাউন্সিলরদের সাম্মানিক। পুরসভার পাঁচ শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী গ্র্যাচুইটি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিনের আইন লড়াই শেষে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে ওই সব অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি মেটাতে হবে। তার আগে পর্যন্ত পুরসভার ফান্ড থেকে কাউন্সিলরদের সাম্মানিক দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই এভাবে চেক নিয়ে গেলেন জ্যোতি পাণ্ডে।
জ্যোতি পাণ্ডের দাবি, তাঁর সাম্মানিকের টাকায় যদি কিছু মানুষের গ্র্যাচুইটি মেটানো যায়, সে কথা ভেবেই টাকা ফেরাতে চান তিনি। বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহাকে সেই চেক দিতে গেলে তিনি গ্রহণ করেননি। চেয়ারপার্সন রেবা রাহার বক্তব্য, একজন বা দুজন টাকা ফেরত দিলে, সেই টাকায় কিছুই হবে না। বোর্ড মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা, সাহায্যও চেয়েছেন।
জ্যোতি পাণ্ডের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়েছেন অন্যান্য পুরপিতারা। তাঁরা টাকা ফেরাবেন কি না বুঝে উঠতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাটপাড়া পুরসভার পেনশনভোগীরা। আদালতের নির্দেশে তাঁরা তাঁদের বকেয়া পেনশন ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন।