ব্যারাকপুর: কংগ্রেস নেতা তথা হাইকোর্টের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির (Kaustav Bagchi Arrest) গ্রেফতারির পর থেকে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। জামিন পাওয়ার পর মাথা ন্যাড়া হয়ে কৌস্তভ হুঙ্কার দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত না করা পর্যন্ত তিনি ন্যাড়া থাকবেন। আর এদিকে কৌস্তভ গ্রেফতারির পর এদিন দুপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির বিজেপির নেতা শীলভদ্র দত্ত। দেখা করলেন কৌস্তভের বাবার সঙ্গে। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি। শুধু শীলভদ্রবাবুই নন, সিপিএম নেতা দেবাশিস ভৌমিকও পৌঁছে যান কৌস্তভের বাড়িতে। শীলভদ্র, দেবাশিস একসঙ্গেই বসে কথা বললেন কৌস্তভের বাবার সঙ্গে। দেবাশিসবাবু অবশ্য জানালেন, কোনও দল নয়, প্রতিবেশী হিসেবেই তিনি গিয়েছেন সেখানে।
কংগ্রেসের চরম বিরোধী বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্তের বক্তব্য, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই,তৃণমুলের শাসন। কৌস্তভ ভাল আইনজীবী। তাই আমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এসেছি। কৌস্তভের কোনও দোষ নেই।’ অন্যদিকে দেবাশিস ভৌমক আবার বললেন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর কৌস্তভের বাড়িতে আসা। তাঁর কথায়, ‘কৌস্তভ আমাদের পাড়ার ছেলে। কৌস্তভকে যেভাবে গতকাল ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে শিক্ষক হিসেবে, সাধারণ মানুষ হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে খোঁজ নেওয়া উচিত।’
এবার কি তাহলে কৌস্তভ দত্তের গ্রেফতারি ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলগুলি এক ছাতার তলায় চলে আসছে? প্রশ্ন করায় দেবাশিসবাবু বলছেন, ‘সাধারণ মানুষ হিসেবে সবাই একসঙ্গে হবেন। সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রতিবাদের ভাষা যদি এক হয়ে যায়, তাহলে একরকম লাগতে পারে। রাজনীতির রং সেখানে আলাদা হতে পারে, কিন্তু প্রতিবাদ একরকম হতে পারে।’
বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত আবার বলছেন, ইস্যুভিত্তিক তো হতেই পারে। আজ যে ঘটনা ঘটেছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই সর্বস্তরে থাকবে। কিন্তু যেভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছি ওনাদের পাশে থাকব। কোনও দরকার হলে, আমাদের ডাকতে বলেছি। এখানে রাজনীতি কোনও বাধা হবে না। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, ব্যক্তিগত জীবন আলাদা জায়গায়।’