বনগাঁ: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ময়দানের বড় মঞ্চ বলতে এই পঞ্চায়েত ভোটই। শাসক-বিরোধী কে কত বুথে প্রার্থী দিতে পারবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা তুঙ্গে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল (Trinamool Congress)। পঞ্চায়েতের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রেও শাসকেরই দাপট থাকার কথা। কিন্তু বিজেপি শিবির থেকে দাবি করা হচ্ছে, সব জায়গায় নাকি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারবে না। রবিবার বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাসের মুখে এমনই কথা শোনা গেল। বললেন, “বনগাঁ জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারবে না। এমন দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বনগাঁ জেলার বেশিরভাগ পঞ্চায়েত দখল করবে বিজেপি।”
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লক বিজেপির তরফে এদিন একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। গোপালনগর হাই স্কুল চত্বরে ওই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। তাঁর সামনেই এই মন্তব্য করেন রামপদ দাস। এদিকে অমিতাভ চক্রবর্তীও এদিন আবাস তালিকা নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে একহাত নেন। বলেন, “গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তা পুরো ভুয়ো তালিকা। আপনারা যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা আবেদনপত্র আমাদের কর্মীদের কাছে জমা দিন। আগামী ১০ জানুয়ারি আমরা আবার তিনটি জনস্বার্থ মামলা করতে চলেছি।”
এদিকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “উনি ঠিকই বলেছেন। নিজেদের কথা বলতে গিয়ে উল্টে গিয়েছে। বিজেপি সব পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারলে আমরা এমনিতেই জিতিয়ে দেব। বিজেপি বুঝে গিয়েছে ওরা সব কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারবে না। প্রচারে থাকার জন্য এই কথা বলছেন।” পাশাপাশি অমিতাভ চক্রবর্তী আদালতে যাওয়ার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গেও পাল্টা দেন বিশ্বজিৎ দাস। বললেন, “ওরা কোর্ট-সর্বস্ব হয়ে গিয়েছে ।”
প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি সব জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ে সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “অবাস্তব কথা বলে তো লাভ নেই। পশ্চিমবঙ্গের যা রাজনীতি, সেখানে কোনও বিরোধী দলের পক্ষে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সিংহভাগ আসনেই আমরা প্রার্থী দেব।”