Sukanta Majumdar: বেডে শুয়ে সুকান্ত, কেমন আছেন? খোঁজখবর নিলেন বোস, শুভেন্দু

দিল্লি থেকে ফিরেই সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিলেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাতে হাসপাতালে গিয়ে সুকান্তর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা খতিয়ে দেখছেন সুকান্তর শারীরিক অবস্থা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আঘাত কতটা গভীর, তা দেখার জন্য সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুকে, পাঁজরে, কোমরে চোট রয়েছে। ট্রমাটাইজ়ড আছেন।’

অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হচ্ছে সুকান্তকে

বসিরহাট থেকে কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার কিছু আগে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে সুকান্তকে নিয়ে ঢোকে অ্যাম্বুলেন্স।

আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সাপোর্টে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছিল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু মাঝপথেই থামতে হল অ্যাম্বুলেন্সকে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিল, ওই অ্য়াম্বুলেন্সের যে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি ছিল, সেটির অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে। মাঝপথে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বদল করা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। জানা যাচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গেই বিকল্প অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা ছিল। সেটিই পরিবর্তন করা হয় মাঝপথে। যদিও পরে অ্য়াম্বুলেন্স চালক জানান, বাসন্তী হাইওয়ের নলমুড়িতে প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল সুকান্ত মজুমদারের অ্যাম্বুলেন্স। অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাল্ভ-এর সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চালক।

বসিরহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুকান্তকে আনা হচ্ছে কলকাতায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। চলছে অক্সিজেন। আনা হচ্ছে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে।

সূত্রের খবর, বাড়ছে রক্তচাপ, স্বাভাবিক নয় পালস রেট। কলকাতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল সুকান্তকে। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য আনা হতে পারে কলকাতায়।

“সন্দেশখালির ঘটনা যে পর্যায়ে গিয়েছে এগুলো তারই প্রতিক্রিয়া। আমাদের বিধায়কেরা, আমাদের রাজ্য সভাপতি এই আন্দোলন করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, যে ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে আমার মনে হয় এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হতে পারে। আজ আমাদের রাজ্য সভাপতিকে যেভাবে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে তাতে আমাদের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে। তখন সরকারের পক্ষে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। সরকারি আজকে আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে, মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে, গায়ের জোরে প্রতিবাদ আটকানোর চেষ্টা করছে।” বললেন দিলীপ ঘোষ। 

যে সময় পড়ে গেলেন সুকান্ত

গাড়ির উপরে উঠে প্রতিবাদ করছিলেন সুকান্ত

অবশেষে হাসপাতালের পথে সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সুকান্তর নিজের গাড়ি ছাড়া হয়নি। তাতে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। 

পুলিশের গাড়িতে উঠে যখন সুকান্ত বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেই সময় সেই গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। তখনই পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয় সুকান্তর। আশপাশে থাকা কর্মী সমর্থকেরা তাঁকে ধরে ফেলেন।

হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধার অভিযোগ। সেন্ট্রাল ফোর্সের তরফে বারবার সুকান্তকে পুলিশের কাছে ছাড়ার আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ছাড়া হয়নি সুকান্তর গাড়ি।

কিছু সময়ের মধ্যে ফের নতুন করে উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সুকান্তর। ধাক্কাধাক্কিতে গাড়িতে ওঠার সময় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয় সুকান্তর।

“পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আমরা ইছামতীর তীরে মা সরস্বতী রূপে আমরা সন্দেশখালির মায়েদের পুজো করলাম। তাঁদের আরাধনা করলাম। অবশ্যই আমরা আবার সন্দেশখালি যাওযার চেষ্টা করব।” বললেন সুকান্ত।