বসিরহাট: বাম থেকে বিজেপি। এখনও অবধি সন্দেশখালিতে পৌঁছতে পারেনি কেউনি। বামেরা পুলিশি ব্যারিকেট ভেঙে নৌকা করে পৌঁছেতে গেলে তাদের আটকে ছিল পুলিশ। আর সোমবার তো বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ প্রতিনিধি দলকে ফিরতে হয় মাঝ রাস্তা থেকে। তাই এবার নয়া পন্থা অবলম্বন করলেন বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ট্রেনে চড়েই বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এরপর বসিরহাট নেমে বাইকে চড়েন সুকান্ত। যেহেতু সন্দেশখালির পাশাপাশি ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বসিরহাটেও। সেই কারণে কোনও রাজনৈতিক দলকেই এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।
মঙ্গলবার, বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ট্রেনে চড়েই রওনা দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। লোকাল ট্রেনের ভিতরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বসিরহাটের পথে সুকান্ত। হৃদয়পুর থেকে ট্রেনে চড়েছেন তিনি। গন্তব্য বসিরহাট। ট্রেনের ভিতর দাঁড়িয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বললেন, “পুলিশ রাস্তায় আটকানোর সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের কর্মীরা খবর দিয়েছে দু’টো রাস্তাই আটকে রেখেছে। আমি কথা দিয়েছিলাম যে ভাবে হোক বসিরহাট পৌঁছবই।” এরপর বাইকে চড়ে এসপি অফিসের সামনে যেতে চান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এ দিকে, বসিরহাটেও প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে এই ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। অবৈধ জমায়েত করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
তার উপর আজ আবার সুকান্ত যাচ্ছেন, তাই এর প্রস্তুতিতে এদিন সকাল থেকে একেবারে ‘রণসজ্জা’ প্রশাসনের। বিশৃঙ্খলা এড়াতে রণসাজে প্রস্তুত বসিরহাট পুলিশ। পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে দু’দিকে দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড করা হয়েছে। রয়েছে জলকামান। হাতে বিপুল সংখ্যক র্যাফ রয়েছে। মহিলা পুলিশ নির্বিশেষে ময়দানে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। লাঠি, ঢাল হাতে তৈরি পুলিশ।