দমদম: দমদমে (Dumdum) কি এবার বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দল? পদ্ম শিবিরের পার্টি অফিসে পোস্টার পড়ল দলেই মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। বিজেপির দমদম মণ্ডল ৩-এর সভাপতি রাখি চক্রবর্তী। তাঁর নামেই মূলত পোস্টার। একাধিক পোস্টার। কোনওটিতে লেখা, ‘রাখি হটাও, মণ্ডল বাঁচাও’। নীচে লেখা, দমদম বিজেপি কর্মীবৃন্দ। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেও পোস্টার পড়েছে। আর এমন সব পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কে বার কারা এই পোস্টার সাঁটিয়ে গেল, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হতে শুরু করেছে। যদিও বিষয়টির দায় শাসক শিবিরের উপরেই চাপাচ্ছে বিজেপি।
এই পোস্টার বিতর্ক ঘিরে বিজেপির দমদম মণ্ডল ৩ সভাপতি রাখি চক্রবর্তী জানান, “এই কাজ বিজেপি কর্মীদের নয়। এটি হল তৃণমূলের অবসাদের ফল। তৃণমূল এখন দমদমে অবসাদে ভুগছে। সব কাউন্সিলর, কর্মীরা হায় হায় করছে। ভাবছে কোন পার্টিতে আমরা আছি, যেখানে চুরি করে করে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজেপি কর্মীরা কেউ করতেই পারে না। কোনও বিজেপি কর্মী এসব করবে? বিজেপি কর্মীরা এখন উৎসাহিত হয়ে আছে, কখন এই সরকারকে ফেলবে। এটা হচ্ছে তৃণমূলের কাজ। তৃণমূল রাতের অন্ধকারে আমাদের মণ্ডলের সামনে গিয়ে এই পোস্টার ফেলেছে। এটা হান্ড্রেড পারসেন্ট তৃণমূলের কাজ।” মণ্ডল সভাপতির বক্তব্য, মদ্যপ অবস্থায় বিজেপিকে কলঙ্কিত করার জন্য এই কাজ করেছে।
যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর সুরজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অন্য রাজনৈতিক দলের ঘরোয়া ব্যাপার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন কেউ পোস্টার মারে, তখন বিজেপি নেতারা বলে তৃণমূলের সময়ে এইসব হচ্ছে। এখন ওনাদের ঘরে যখন কেউ পোস্টার মারছে, বলছে তৃণমূল করছে। এটা বোঝা যাচ্ছে, দমদমে বিজেপি বলে কিছু নেই, সব তৃণমূলের লোকই আছে। বিজেপিতে নিজস্ব কোনও লোক নেই।” বিজেপির সঙ্গে সাধারণ জনগণের কোনও যোগাযোগ নেই বলেই দাবি তাঁর।