Murder in Halisahar : প্রেমিকাকে নিয়ে উঠেছিলেন হোটেলে, সেখান থেকে সোজা থানায় যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 25, 2023 | 10:23 PM

Murder in Halisahar : ২৩ তারিখ করা হয়েছিল বুকিং। তারপর থেকে হালিশহরের ওই হোটেলেই প্রেমিকার সঙ্গে থাকছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা সোমা মণ্ডল।

Murder in Halisahar : প্রেমিকাকে নিয়ে উঠেছিলেন হোটেলে, সেখান থেকে সোজা থানায় যুবক

Follow Us

হালিশহর : প্রেমিকের সঙ্গে হোটেলেই থাকছিলেন দুদিন ধরে। কিন্তু, বুধবার বিকালে আচমকা হোটেল (Hotel) থেকে উধাও হয়ে যান প্রেমিক। তবে তারপর থেকে আর দেখা মেলেনি প্রেমিকারও। খানিক পরেই হোটেলে এল পুলিশ। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকার দেহ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে হালিশহরে। সূত্রের খবর, ২৩ জানুয়ারি হালিশহরের (Halisahar) জেঠিয়া থানা এলাকায় এক হোটেল ঘর ভাড়া নেন কোচবিহারের বাসিন্দা সোমা মণ্ডল (২৮) নামে এক যুবতী। প্রেমিক সুমন সাহার সঙ্গে রুম বুক করেছিলেন ওই হোটেলে। গত দুদিন ধরে ছিলেন ওই ঘরেই। তবে তাঁদের কোনও সমস্যার কথা জানতে পারেননি হোটেলের কর্মচারিরা।

হোটেল সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকে আর দেখা মেলেনি সুমনের। তবে ততক্ষণে জেঠিয়া থানায় হাজির হয়েছেন তিনি। সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে স্বীকার করেন, তিনিই মেরে ফেলেছেন তাঁর প্রেমিকাকে। যুবকের কথা শুনে হতবাক হয়ে যান পুলিশ কর্তারা। একে খুন, তারপর একেবারে পুলিশের কাছে এসে খুনের কথা স্বীকার করছে খুনি। এ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাঁরা। যদিও এরপরই সোজা ওই হোটেলে চলে যান তদন্তকারী। ম্যানেজারের থেকে চাবি নিয়ে ঘর খুলতেই সব পরিষ্কার হয়ে য়ায়। বাথরুমের কল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর আঠাশের ওই তরুণীর দেহ। খুনের খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি হোটেলের কর্মীরা। অন্য়দিকে ইতিমধ্যেই খুনের দায়ে প্রেমিক সুমন সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রেমিকার সঙ্গে বিবাদের জেরে মাথা গরম করে এই কাজ করে ফেলেছে ওই যুবক। শেষে অনুশোচনার কারণেই পুলিশের কাছে দিয়ে নিজের দোষ কবুল করেছে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে হোটেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব বাগ বলেন, “২৩ তারিখ প্রথম ওরা হোটেলে আসে। কোচবিহারের বাসিন্দা ছিল মেয়েটা। তারপর থেকে ওরা দুজন দুদিন হোটেলের ঘরেই ছিল। আজ বিকালে আচমকা হোটেলে পুলিশ আসে। যদিও ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কিছুই জানতাম না। ১০৫ন নম্বর ঘরটা দেখতে চায়। ঘরের তালা খুলতেই দেখা যায় বাথরুমে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই তরুণী। কলের সঙ্গে দেহটা ঝুলছিল। এ ঘটনা দেখে আমরাও অবাক। পুলিশের মুখ থেকেই সব শুনি।”  

Next Article