উত্তর ২৪ পরগনা: নিত্য ঘরে অশান্তি হত। প্রতিবেশীদের কাছ থেকেই সেই সাধুর নাম শুনেছিলেন তিনি। সংসারের অশান্তি থামাতে সেখানেই যান। কিন্তু অভিযোগ, সেখানেও তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাধু ও তাঁর এক সাগরেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি, আর সেই অশান্তি দূর করতে বনগাঁর একটি এলাকায় এক সাধুর কাছে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। সাংসারিক সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার নামে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সাধু ও তার এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। আর সেই অপমানে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। সোমবার রাতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত গৃহবধূর দাদা। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, ৬ বছর আগে বনগাঁ এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নিত্য অশান্তি হত দুজনের মধ্যে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান গৃহবধূর স্বামী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বামীকে ফিরে পাওয়ায় আশায় এক বছর ধরে অভিযুক্ত সাধুর কাছে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ সেখানে অভিযুক্ত সাধু ও তাঁর এক সহযোগী বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টা খুলে বলতে পারেননি ওই গৃহবধূ। তবে তিনি যে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তা আঁচ করতে পেরেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাঁরা ভেবেছিলেন স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারণেই এই অবসাদ। এরপর সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়। ঘর থেকে একটি কাগজ উদ্ধার হয়। তাতে গোটা বিষয়টি লিখেছিলেন ওই গৃহবধূ। সেখানে ওই সাধু ও তাঁর সঙ্গীর নাম লেখা ছিল। পরিবারের দাবি, ওই হাতের লেখা তাঁদেরই মেয়ের।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, নির্যাতিত হয়ে অপমান ও ভয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ। গৃহবধূর দাদা ওই সাধু ও তাঁর সঙ্গীর নামে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই চিরকূটটিও। অভিযুক্ত আপাতত পুলিশের নজরে, তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।