মিনখাঁ: সকাল হলেও এখনও থমথমে মিনাখাঁ। বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হল শিশুর। যে ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী (Trinamool Workers) বলেই পরিচিত। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এ দিকে, রাত কাটলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এক প্রকার নিস্তব্ধ গোটা এলাকা। গৃহবন্দী হয়েই রাত কাটে গ্রামবাসীদের। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আবুল হোসেন গাইন। তাকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যার ছটা নাগাদ ভয়ানক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বকচোরা গ্রাম। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আট বছরের এক শিশু কন্যা ঝুমা খাতুন। পাশাপাশি গ্রামবাসী সূত্র মোতাবেক আরও দুজনের আহত হওয়ার খবর রয়েছে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৃতার মামা অর্থাৎ আবুল হোসেন গাইনের নাম উঠে এসেছে। যার ফলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে গ্রামবাসীদের ভিতর।
পাশাপাশি সকাল থেকেই এক ভয়ানক চাপা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গোটা বকচোরা গ্রাম। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কার্যত মানব শূন্য হয়েছে গোটা গ্রাম। যে যার মতো গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। আবার অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তার আগেই এই উত্তেজনা যার ফলে যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা চাইছেন গ্রামে যেন শান্তি ফিরুক এবং দোষীরা যেন অবিলম্বে শাস্তি পাক। বুধবার সন্ধ্যার থেকেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটা বাড়িটিকে তদন্তের সাথে সিল করে রেখেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।
এক গ্রামবাসী বলেন, ‘কালকে সন্ধ্যে ছটা নাগাদ একটা বিকট আওয়াজ হয়। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি ওদের বাড়ির একটা বাচ্চা ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পরে বুঝলাম বোমা ফাটার আওয়াজ। আবুল হোসেনের গাইনের বাড়িতেই বোমা তৈরি হত। এবার ওরা তো বাচ্চা। ঘরের এক কোনায় বোমা রেথে দিয়েছে বুঝবে কী করে। খেলা করতে করতে বোমার থলিতে বসে পড়ে আর বোমা ফেটে যায়। এখন আতঙ্কে রয়েছি আমরা। আমরা চাই এই গুন্ডা বাহিনীকে জেলে ভরে দিক।’ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, ‘সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই ঘটনা আমাদের কাছে আশঙ্কার। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা কোথা থেকে এল। বোমা নিয়ে কী করছিল তদন্ত হওয়া উচিত।’