গোবরডাঙা: অত্যধিক ভিড়ের চাপে গোবরডাঙ্গার মিলন সংঘের পুজো সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিল পুলিশ। পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে বুর্জ খালিফার আদলে। সপ্তমীর রাতে বৃষ্টি নামে। সেই সময় হঠাৎ করেই প্রচুর ভিড় হয়ে যায় মণ্ডপের সামনে। বাধ্য হয়ে পুজোর উদ্যোক্তারা গোবরডাঙা থানায় ফোন করেন। পুলিশ পৌঁছে সাময়িক ভাবে পুজোর দর্শন বন্ধ করে দেয়। সূত্রের খবর, ফের পুজো চালু করা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুজো উদ্যোক্তারা। ঘটনায় বেশ খানিকটা নিরাশ আগত দর্শনার্থীরা। বুর্জ খালিফার আদলে তৈরি এই মণ্ডপের একেবারে কাছে এসেও শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। হতাশার সুর তাঁদের গলায়।
তবে মিলন সংঘের পুজোর উদ্যোক্তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন যেমন বলবে, তেমনই হবে। পুজো কমিটির এক কর্মকর্তার কথায়, “পুজো বার বার আসবে। এর থেকে আরও ভাল মণ্ডপ হবে। কিন্তু আমরা মানুষের জীবনের নিশ্চয়তার কথা আগে ভেবেছি। সেই কারণে, ওই ভিড় আমরা সামাল দিতে পারব না দেখে, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মণ্ডপ দর্শন বন্ধ করে দিয়েছি।” দর্শনার্থীরা অনেকে হতাশ হলেও, পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর শ্রীভূমির দুর্গাপুজোতেও মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল বুর্জ খালিফার আদলে। পেল্লাই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ও পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মণ্ডপ দর্শন। এমনকী চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জাও বন্ধ রাখতে হয়েছিল ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য। আর সঙ্গে ছিল পাশের ভিআইপি রোডে অত্যাধিক যানজট। সেই কথা এখনও ভোলেনি শহরবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুজিত বসুকে এবার সতর্ক করে দিয়েছেন, যাতে ভিআইপি রোডে কোনও যানজট না হয়, সেই দিকে নজর রাখার জন্য।
তবে গোবরডাঙার বুর্জ খালিফাতেও এবার ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পুজো মণ্ডপ দর্শন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।