উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিলেন বনগাঁর পুরপ্রধান। সেই পিটিশন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধায়ক স্বপন মজুমদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এই মামলা করেন। স্বপন মজুমদার বলেন, “আমরা সকলেই জানি পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোপাল শেঠ আমার নামে একটি মামলা করেন। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সেই পিটিশন। তার রায়ও দিয়েছে আদালত। গোপাল শেঠ আমার সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখার কথা বলেছিলেন, তা দেখে নির্বাচন কমিশনকে আমার পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোকও বলেছিলেন। আদালত সবটা দেখেই যা নির্দেশ দেওয়ার দিয়েছে।”
একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে হেরে যান বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। এরপর তিনি বিজেপি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মামলা করেন। যদিও এই মামলাপর্বে আলোরানির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে আলোরানির পর স্বপন মজুমদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের তদন্ত চেয়ে আদালতে যান গোপাল শেঠও।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই পিটিশন দাখিল করেছিলেন বনগাঁর পুরপ্রধান। গোপাল শেঠের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেই জানান বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে গোপাল শেঠ এটা করেছিলেন। গোপাল শেঠ বলেন, “আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব। সুপ্রিম কোর্ট অবধি আমরা যাব। এর শেষ আমরা দেখেই ছাড়ব।”