উত্তর ২৪ পরগনা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তৎপর সিবিআই। বরানগর বারুইপাড়া লেনে অভিযান চালাল সিবিআই-এর বিশেষ দল। বরানগরের বাসিন্দা শ্যামল কুমার সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। শ্যামলকুমার সেন পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তল্লাশি চালানোর পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। দু’ঘণ্টা ধরে শ্যামল সেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিবিআই এর দল। এদিকে, বরানগর বারুইপাড়ায় বিশ্বজিৎ সেন নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালায়। বাড়িটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে, প্রশান্ত, বিশ্বজিৎরা নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম এসএসসি দুর্নীতিতে তদন্তে এসেছে। এর আগেও এসেছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি এসেছিল। এখানে এখন সব সিল করে দিয়ে গিয়েছে।”
ওই এলাকারই আরও এক বাসিন্দার বক্তব্য, “এ আর নতুন কী, চারদিকেই শোনা যাচ্ছে এরকম ঘটনা।” নিয়োগ দুর্নীতিতে চূড়ান্ত তৎপর সিবিআই। ৭২ ঘণ্টায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী শ্যামল বর্তমানে ব্যবসা করেন। এর আগেও একবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। মবার ফের চলে তল্লাশি। ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তার ভিত্তিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়াও শ্যামলের আরও কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, যেখানে হিসাব বহির্ভূত লেনদেন হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত তাঁকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সিবিআই স্ক্যানারে রঞ্জন সহ ৬ এজেন্ট। তৃণমূল নেতা শাহিদ ইমামকে লাগাতার জেরা সিবিআইয়ের। তাঁর থেকে প্রচুর তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সেই জন্য তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের সুযোগ থাকলেও শাহিদের জেল হেফাজত চেয়েছে সিবিআই। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ফের তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ম্যারাথন জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় নীলাদ্রি নামে আরও এক এজেন্টকে।