হিঙ্গলগঞ্জ: সাত সকালেই বাড়ির ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মা-দিদা। দরজা বন্ধ করে আত্মঘাতী হলেন এক নাবালক। মৃতের নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। কেন হঠাৎ আত্মহত্যার পথ বাছল সে?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থানার হিঙ্গলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ। বাড়িতে মা ও দিদার সঙ্গে থাকত সে। হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তান প্রসেনজিৎ। তার মা পরিচারিকার কাজ করেন।
জানা গিয়েছে, সোমবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকেই কাজে লাগায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। সেই ফাঁকে প্রসেনজিৎ বাড়ির গেট বন্ধ করে সিঁড়ির ঘরে গলায় ফাঁস লাগায়। বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির গেট বন্ধ দেখে চিৎকার জুড়ে দেন তাঁরা। ছুটে আসেন এলাকাবাসীও। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই নাবালককে ঝুলন্ত অবস্থায় সিঁড়িতে দেখতে পায়। তৎক্ষণাত তাঁকে উদ্ধার করে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে কী কারণে এই আত্মহত্যা তা এখনও জানতে পারা যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসেনজিতের দিদা বলেন, “প্রসেনজিতের দিদা বলেন, “ও ঘরে একাই ছিল। তারপর গেটে তালা দিয়ে দিল। আমি জল এনে বলছি দরজা খোল। খুলছে না। ওর মা নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে এসে ডাকছে মানু দরজাটা খোল। তারপর ওর মামাদের ডাকল। দরজা ভেঙে দেখল এই অবস্থা।”