দক্ষিণেশ্বর: বৃহস্পতিবার ভর দুপুরে রাস্তার মাঝে পরপর দু রাউন্ড গুলি চলেছে দক্ষিণেশ্বর-আড়িয়াদহ এলাকায়। আক্রান্ত ও অভিযুক্ত দুজনেই তৃণমূলের সদস্য। তাঁদের দুজনকেই ব্যক্তিগতভাবে চেনেন বিধায়ক মদন মিত্র। প্রোমোটিং নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় সিপিএম তথা প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন। পাশাপাশি দাবি, এই যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন কয়েকজন ঠিকাদার। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আড়িয়াদহ মৌসুমী মোড়ের কাছে অরিত্র ঘোষ নামে ওই তৃণমূল যুবনেতা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলি না লাগলেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জায়েন্ত সিং নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অরিত্র।
মদন মিত্র বলেন, “এই সব অপরাধের পিছনে রয়েছে কয়েকজন ঠিকাদার। তারাই টাকা দিয়ে এদের অপরাধী তৈরি করছে।” তিনি এ কথা পুলিশকে বারবার জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন মদন মিত্র। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “বেলঘড়িয়া হল এমন একটি থানা, যেখানে ৪ বছর ধরে একজন আইসি আছেন।” কলকাতার কোনও থানায় তিন বছরের বেশি কোনও আইসি থাকে না। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রতন চক্রবর্তীকেই কার্যত নিশানা করেছেন তিনি।
মদনের দাবি, আড়িয়াদহ তরুণ দল স্পোর্টিং ক্লাবের রেজিস্ট্রি করাতে দেননি প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়। আর সেই ঘটনার পর থেকেই এমন অপরাধের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মদন বলেন, “ক্লাব রেজিস্ট্রি হওয়া তো ভাল কথা। এখানে ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা শিখতে পারে।”
তবে মদনের অভিযোগ উড়িয়ে প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, সমাজবিরোধীদের সঙ্গে বরাবরই মদন মিত্রের যোগাযোগ ভাল। তিনি বলেন, “দিন দুয়েক আগেই অভিযুক্ত জায়েন্ত সিং-এর জন্মদিনে দেখা গিয়েছে মদন মিত্রের ছেলে ও তাঁর বৌমা। কাদের আশ্রয়ে সমাজ বিরোধীরা এই সব কাজ করছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”