বাগদা: নৌকায় বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সঙ্গী। হঠাৎ ফোন। ফোনের ওপার থেকে আরও কয়েকজনের গলা। তারপর দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচি। রাগে নৌকা ছেড়ে উঠে এলেন। তারপর…
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ঘটনা। সোমবার রাত্রিবেলা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী ইছামতিতে ছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সময় বাজিৎপুর ব্রিজের উপরে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে নৌকা থেকে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথবাবু ব্রিজের উপরে উঠে আসেন। অভিযোগ, তারপরও চলে কথা কাটাকাটি। পাশাপাশি মারধর করারও অভিযোগ ওঠে রবীন্দ্রনাথ বাবুকে। জানা যায়, মারধরের পর সেখানেই রবীন্দ্রনাথবাবু বাজিৎপুরে মন্দিরের পাশে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৪৩)। পেশায় তিনি মুদিখানার ব্যবসায়ী। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ দিকে, স্ত্রী মানালি বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। অনেকেরই তাঁর স্বামীর সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল। নিজের এলাকায় সেবামূলক কাজ করার কারণেই এই শত্রু তৈরি হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে, পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।এলাকায় পৌঁছেছে বাগদা থানার ওসি।
মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘সব সময় মানুষের সেবা করত। কার মেয়ের বিয়ে হল না, কে খেতে পেল না, কে হাসপাতাল থেকে আনতে পারছে না সবটাই দেখত। লকডাউনে বহু মানুষকে খাইয়েছে। গতকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শেষ কথা। ও খুন হয়েছে। ওর ভাল মানুষির জন্য ওকে খুন হতে হয়েছে। আসলে পাড়ায় ওকে অনেকে চিনত। ও এত লোককে সাহায্য করেছে যে এলাকার মানুষ ওকে ভালবাসত। সেই কারণেই আজকে ওকে খুন হতে হল। এলাকায় নাম-সুগান হচ্ছিল বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই তাই খুন করে ফেলল।