Doctor Harassment: হাসপাতালে গিয়ে ‘জোরজুলুম’, তৃণমূল নেত্রীর দাপটে হাসপাতাল ছাড়লেন চিকিৎসক, চাইলেন অনির্দিষ্টকালের ছুটি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 15, 2022 | 4:10 PM

West Bengal: উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ঘটনা। অভিযোগ, বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রী তথা হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

Doctor Harassment: হাসপাতালে গিয়ে জোরজুলুম, তৃণমূল নেত্রীর দাপটে হাসপাতাল ছাড়লেন চিকিৎসক, চাইলেন অনির্দিষ্টকালের ছুটি
চিকিৎসক দেবাংশু সরকার (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বাগদা: চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। শেষমেশ হাসপাতালে আসাই বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসক। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ঘটনা। অভিযোগ, বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রী তথা হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ঠিক তারপর থেকেই হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেন ওই চিকিৎসক।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে বিগত সাত বছর ধরে কর্মরত দেবাংশু সরকার। তাঁকেই হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত্রিবেলা জরুরী বিভাগে আসেন এক রোগী। তাঁকে নিয়েই চিকিৎসকের সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয় চায়না বিশ্বাস ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে।
অভিযোগ, এরপরেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন চায়না। পাশাপাশি দলবল নিয়ে চিকিৎসককে স্থানান্তরিত করার হুমকি দেন। এরপরই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ছুটির আবেদন লেখেন ওই চিকিৎসক। তারপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চলে যান তিনি।

পরবর্তীতে, দেবাংশু সরকার এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান বিএমওএইচ প্রণব মল্লিকের কাছে। সেই চিঠিতে তিনি দুর্ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেছেন। জানা গিয়েছে, রোগীর রিপোর্ট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নাকি তাঁকে প্রভাবিত করা হয়েছে।

বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাগদা হাসপাতালে গত শনিবার রাত্রি বারোটার পর সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামী যান। এক রোগীকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে নিগ্রহ করেন। এরপর চিকিৎসককে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেন। পরে ভয় পেয়ে সেই চিকিৎসক বিএমওএইচ-কে চিঠি লিখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়ে চলে যান।’ অপরদিকে, চায়না বিশ্বাস জানান, ‘আমার সঙ্গে কিছুই হয়নি। হয়েছে রোগীর পরিবারের সঙ্গে। ফোনে কথা বলে বিষয়টি উনি তাঁর রিপোর্ট করে দিয়েছেন। আর যাদের আঘাত লেগেছে তাঁরাও এসেছিলেন। তবে তাঁদের রিপোর্ট নেওয়া হয়নি। তখন ওই পেসেন্ট ফোন করে। আমি ঘটনাস্থলে যাই। তখনই আমি বলি যে আপনি একজনের রিপোর্ট নিয়েছেন অথচ অপরজনের রিপোর্ট নেননি। সেই নিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়েন।’

Next Article