Deganga Domestic Violence: ফাঁকা গলিতে স্ত্রীকে একা পেয়ে পিছন থেকে জাপটে ধরলেন স্বামী, শ্বশুরবাড়ির সামনেই প্রকাশ্যে যা ঘটালেন…

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তায় লুকিয়ে ছিলেন ঘাঁপটি মেরে। বাপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গলি ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। আচমকাই অতর্কিতে হামলা। হাতে ধারাল অস্ত্র। স্ত্রীকে জাপটে ধরে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন তিনি। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মাঝ বয়সী ওই মহিলা। তাঁর আর্তনাদে যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে জড়ো হন, ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার খড়ুয়ার চাঁদপুর এলাকায়। আক্রান্ত গৃহবধূ মঞ্জু কাহার দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত গৃহবধূ মঞ্জু চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা। বেশ কয়েক বছর আগে দেবু কাহার নামে এলাকারই এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। পরে তাঁদের এক পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু অভিযোগ, দেবু বিয়ের পর থেকেই তাঁর ভরন পোষণের দায়িত্ব নিতেন না। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। ছেলে হওয়ার পর সেই অশান্তি বেড়ে যায়।
মঞ্জু তাই তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। পরিচারিকার কাজ করে কোনও রকমের সংসার চালান। সোমবার রাত সাতটা নাগাদ তিনি চাঁপাতলা হাড়োয়া রোড ধরে বাপের বাড়ির দিক থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় রাস্তায় লুকিয়ে ছিল অভিযুক্ত স্বামী দেবু কাহার।

পথ আগলে ধরে তাঁকে ডিভোর্স দিতে বলেন। এরপর ঝোলা থেকে ধারাল অস্ত্র বার করে তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হওয়ার আগেই দেবু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মঞ্জুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত দেবু কাহারের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর দাদা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এটা নিতান্তই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ। অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।