DGP Rajib Kumar on Sandeshkhali: কবে গ্রেফতার শাহজাহান? ‘বড়’ মন্তব্য করলেন রাজীব কুমার

Supriyo Guha | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 22, 2024 | 12:48 PM

DGP Rajib Kumar on Sandeshkhali: রাজ্যের ডিজিপি বোট থেকে নামতেই এ দিন সাংবাদিকরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি জানান, "আমি ফোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানকার মানুষের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে এসে কথা বলেন। আমার আর্জি আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন।"

Follow Us

সন্দেশখালি: টানটান উত্তেজনা সন্দেশখালিতে। বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই আবার বেরিয়ে পড়েন রাজ্যের ডিজিপি। বোটে চড়ে তিনি আসেন ধামাখালিতে। তাঁর সঙ্গে এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার যোগ দেন। এর কিছুক্ষণ পর রাজীব কুমার ফেরেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তবে তাঁর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, আইনভঙ্গকারীদের অবশ্যই গ্রেফতার করবে পুলিশ। তবে কবে গ্রেফতার হবেন শাহজাহান? খোলাখুলি তা কিছুই জানাননি। আর এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, দেড় মাস হয়ে গিয়েছে শাহজাহান অধরা। উত্তম-শিবুরা গ্রেফতার হলেও কেন ধরা যাচ্ছেন সন্দেশখালির ‘বাঘকে’ ? বাধা দিচ্ছে কে?

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় সেখানকার নির্যাতিতারা বারবার কাঠগড়ায় তুলেছেন শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার ও শেখ শাহজাহানকে। এর মধ্যে গণধর্ষণের মামলা রুজু হতেই গ্রেফতার হয়েছেন শিবু-উত্তম। তবে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির উপর হামলার মামলা রুজু হলেও, ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম আবার জড়িয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। এত অভিযোগ থাকার পরও এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল তাঁকে বারবার সেই প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

এর আগে গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে বলতে গিয়ে রাজীব কুমার বলেছিলেন, “যেই আইন ভেঙে থাকুক তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আজও প্রায় একই কথাই শোনা গেল তাঁর মুখে। বোট থেকে নামতেই এ দিন সাংবাদিকরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি জানান, “আমি ফোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানকার মানুষের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে এসে কথা বলেন। আমার আর্জি আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন।” শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবেন? এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে রাজীব জানান, “যারা যারা আইন ভেঙেছেন তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।”

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “একই কথা বললেন। আগে কলকাতায় বলেছিলেন। এখন সন্দেশখালি নিয়ে বললেন। দেড় মাস লেগে গেল সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? তাহলে ব্যবস্থা নিতে কে বাধা দিচ্ছে? সবাই তো জানে শাহজাহান এলাকায় আছে। তাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? এতদিন শিবুকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। যেই মুহূর্তে সরকার গণধর্ষণের মামলা রুজু করার কথা সরকার জানাল তার ১০ মিনিটের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে গেল।” আবার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, “রাজীব কুমার প্রকৃত ভদ্রলোক। উনি যে কথা দেড় মাস আগে বলেছিলেন সেই কথা আজ আবার বলে প্রমাণ করলেন ভদ্রলোকের এক কথা। তবে প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশের নিরাপত্তাতেই তো শাহজাহান রয়েছেন। কবে তাঁকে সামনে আনবেন?”

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। গতকাল দুপুর বেলা রাজীব কুমার এসেছেন সন্দেশখালিতে। এরপর থেকে চলছে দফায়-দফায় অভিযান। প্রথমে পৌঁছন সন্দেশখালি থানায়। তিনি ওঠেন PWD বাংলোয়। রাত্রিবেলা ফের বের হন টহল দিতে। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত টহল দিয়ে ফিরে আসেন PWD-র বাংলোয়। এ দিকে, শিবু-উত্তম গ্রেফতারের পর এখনও শাহজাহান ধরা না পড়ায় কার্যত বারবার প্রশ্ন উঠছে কবে গ্রেফতার হবেন এই তৃণমূল নেতা? আর শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে যখন চাপানউতর চলছে সেই সময় রাজীবের এই মন্তব্যে আরও জল্পনা বাড়িয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সন্দেশখালি: টানটান উত্তেজনা সন্দেশখালিতে। বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই আবার বেরিয়ে পড়েন রাজ্যের ডিজিপি। বোটে চড়ে তিনি আসেন ধামাখালিতে। তাঁর সঙ্গে এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার যোগ দেন। এর কিছুক্ষণ পর রাজীব কুমার ফেরেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তবে তাঁর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেপাত্তা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, আইনভঙ্গকারীদের অবশ্যই গ্রেফতার করবে পুলিশ। তবে কবে গ্রেফতার হবেন শাহজাহান? খোলাখুলি তা কিছুই জানাননি। আর এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, দেড় মাস হয়ে গিয়েছে শাহজাহান অধরা। উত্তম-শিবুরা গ্রেফতার হলেও কেন ধরা যাচ্ছেন সন্দেশখালির ‘বাঘকে’ ? বাধা দিচ্ছে কে?

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় সেখানকার নির্যাতিতারা বারবার কাঠগড়ায় তুলেছেন শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার ও শেখ শাহজাহানকে। এর মধ্যে গণধর্ষণের মামলা রুজু হতেই গ্রেফতার হয়েছেন শিবু-উত্তম। তবে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির উপর হামলার মামলা রুজু হলেও, ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম আবার জড়িয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। এত অভিযোগ থাকার পরও এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল তাঁকে বারবার সেই প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

এর আগে গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে বলতে গিয়ে রাজীব কুমার বলেছিলেন, “যেই আইন ভেঙে থাকুক তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আজও প্রায় একই কথাই শোনা গেল তাঁর মুখে। বোট থেকে নামতেই এ দিন সাংবাদিকরা তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি জানান, “আমি ফোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানকার মানুষের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাঁরা যেন পুলিশের সঙ্গে এসে কথা বলেন। আমার আর্জি আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেন।” শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবেন? এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে রাজীব জানান, “যারা যারা আইন ভেঙেছেন তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।”

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “একই কথা বললেন। আগে কলকাতায় বলেছিলেন। এখন সন্দেশখালি নিয়ে বললেন। দেড় মাস লেগে গেল সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? তাহলে ব্যবস্থা নিতে কে বাধা দিচ্ছে? সবাই তো জানে শাহজাহান এলাকায় আছে। তাও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? এতদিন শিবুকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। যেই মুহূর্তে সরকার গণধর্ষণের মামলা রুজু করার কথা সরকার জানাল তার ১০ মিনিটের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে গেল।” আবার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, “রাজীব কুমার প্রকৃত ভদ্রলোক। উনি যে কথা দেড় মাস আগে বলেছিলেন সেই কথা আজ আবার বলে প্রমাণ করলেন ভদ্রলোকের এক কথা। তবে প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশের নিরাপত্তাতেই তো শাহজাহান রয়েছেন। কবে তাঁকে সামনে আনবেন?”

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। গতকাল দুপুর বেলা রাজীব কুমার এসেছেন সন্দেশখালিতে। এরপর থেকে চলছে দফায়-দফায় অভিযান। প্রথমে পৌঁছন সন্দেশখালি থানায়। তিনি ওঠেন PWD বাংলোয়। রাত্রিবেলা ফের বের হন টহল দিতে। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত টহল দিয়ে ফিরে আসেন PWD-র বাংলোয়। এ দিকে, শিবু-উত্তম গ্রেফতারের পর এখনও শাহজাহান ধরা না পড়ায় কার্যত বারবার প্রশ্ন উঠছে কবে গ্রেফতার হবেন এই তৃণমূল নেতা? আর শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে যখন চাপানউতর চলছে সেই সময় রাজীবের এই মন্তব্যে আরও জল্পনা বাড়িয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Next Article