Anubrata Mondal: ‘কেষ্টকে ছাঁটতে সাত মাস লাগল’, অনুব্রত প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh: সোমবার সকালে ইকো পার্কে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপের কটাক্ষ, টাকার অঙ্ক বেশি বলেই কেষ্টকে ছাঁটতে বেশি সময় লাগছে।

Anubrata Mondal: ‘কেষ্টকে ছাঁটতে সাত মাস লাগল’, অনুব্রত প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
অনুব্রত ও দিলীপ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 11:11 AM

নিউটাউন: সিবিআই-এর হাতে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর সোমবার প্রথমবার কেষ্টগড়ে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্টর খাসতালুক বীরভূমে সভা ঘিরে লাগানো হয়েছে ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার। কিন্তু সেই সব ব্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি না থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তৃণমূল দূরত্ব বাড়াচ্ছে কি না। সেই প্রশ্নও উঠেছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে ইকো পার্কে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপের কটাক্ষ, টাকার অঙ্ক বেশি বলেই কেষ্টকে ছাঁটতে বেশি সময় লাগছে।

বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রতের প্রসঙ্গে দিলীপ সোমবার বলেছেন, “পার্থকে ছাঁটতে সাত দিন নিয়েছিল। কেষ্টকে ছাটতে সাত মাস লাগল। কারণ এক জনের কাছে সাড়ে তিনশো কোটি এবং আরেক জনের কাছে সাড়ে পাঁচশো কোটি আছে। এই দলে যে যত টাকা তুলে দেয়, তাঁর গুরুত্ব তত বেশি। বাঘ খাঁচায় ঢুকে গেছে। এখন শিয়াল, খ্যাঁক শিয়াল ধরা পড়ছে। এগুলো সব টেন পার্সেন্টের লোক। যারা আশি নব্বই পার্সেন্ট নিয়েছে, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধরা না পড়বে, এর মূলে পৌছানো যাবে না। আরও অনেক ক্লু পাওয়া যাবে।”

কেষ্ট ছাড়া বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনার ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন দিলীপ। বলেছেন, “অনুব্রত বীরভূমে ছিলেন। অন্য জায়গায় কি হয়েছিল? কেষ্ট একটা বাই প্রোডাক্ট। এই সিস্টেম জেলায় জেলায় আছে। কেষ্ট বেশি হাইলাইট হত। এরকম অনেক সিস্টেম আছে। সিবিআই এর কাজ এইসব ছোট ছোট কেষ্টকে খুঁজে বের করা।” দিদির দূত হিসাবে গ্রামে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের বেঁধে রাখার নিদানও দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেছেন, “মানুষকে উত্তর দিতে হবে। কাজ কেন হয়নি। আমি তো বলেছি, জনতা সজাগ আছে। পাবলিক জিজ্ঞাসা করছে। সে জন্য বেঁধে রাখা উচিত। আমি তো বলেছি, জল দেয় না, আপনারা ওদের বেঁধে রাখুন। জলও দেবেন না।”

দিলীপের এই বক্তব্যের পর তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূলের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “নিউটাউন হাসপাতালে অনেক মেন্টাল হাসপাতাল আছে। সেখানে জায়গা দেখে দেব। সকালে উঠেই আবোল তাবোল কথা শুরু করেন। নিজের দলে জায়গা পাচ্ছেন না। এ সব বলে ওঠার চেষ্টা করছেন। আমাদের দলে কাকে কোণঠাসা করা হবে, তা দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। ওনার মাথা ঘামিয়ে দরকার নেই।”