উত্তর ২৪ পরগনা: করোনার (COVID-19) তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মধ্যে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পর্যন্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে। রাজ্যগুলিকেও সেই মত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু। যেহেতু এই ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকবে, তাই বারাসত জেলা হাসপাতালও বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার জানান, সব ধরনের এমার্জেন্সি সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যেহেতু আশঙ্কা করা হচ্ছে শিশুদের সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, তাই এখন থেকে শিশুদের জন্য আলাদা কেয়ার নেওয়া হচ্ছে এখানে।
৪০টি শয্যার বিশেষ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। প্রত্যেক শয্যার জন্য থাকবে লাইফ সাপোর্ট ইন্সট্রুমেন্ট। গত ৭ জুন রোগী কল্যাণ সমিতি বৈঠকও করেছে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সব জেলা হাসপাতালে তৃতীয় ওয়েভ মোকাবিলা করার উপযুক্ত বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: নার্সিং স্কুলের ‘বেসরকারিকরণ’, হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ ছাত্রীদের
ইতিমধ্যেই ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মা-বাবার নজরদারিতে মাস্ক ব্যবহারের বিধান দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রে সংক্রমণের কতটা প্রভাব পড়েছে, তা জানতে ৬ মিনিটের হাঁটা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশের নীচে থাকে বা হঠাৎ করে ৩ থেকে ৫ শতাংশ স্যাচুরেশন কমে যায়, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।