বারাসত: বারাসতের বাজি কারখানার বিস্ফোরণে বারংবার এলাকাবাসী দাবি করেছেন তাঁরা অনেক দিন ধরেই জানতেন বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল ওই এলাকায়। তাঁদের দাবি, একাধিকবার জানিয়েও পুলিশ কোনও কর্ণপাত করেনি। এক বাসিন্দা আবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন পুলিশের বিরুদ্ধে। জানালেন প্রতিবাদ করায় নাকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।
মুজিবর নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমি বারণ করেছিলাম এই ভাবে বেআইনি বাজি বানানো বন্ধ করতে। বারবার বলেছিলাম ফাঁকা মাঠে গিয়ে এই বাজি বানাতে। বাড়ির ভিতরে এই বাজি বানানো যায় না। আমি একা লড়তে পারিনি।” ওই ব্যক্তি জানান,”এরপর আমার বিরুদ্ধে রহমান থানায় অভিযোগ করে। তখন দত্তপুকুর থানার পুলিশ আমায় ধর্ষণ,মানহানি, শ্লীলতাহানির কেস দিয়ে গ্রেফতার করেছিল।”
মুজিবরের আরও দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বোমা বাঁধা হত এখানে। আমি তখনও প্রতিবাদ করেছিলাম। তিনি বলেন, “কেরামত নামে তৃণমূলের এক নেতা ও তার দলবল এখানে বোমা বাঁধত। কিন্তু আমি পুলিশকে জানাইনি।”
প্রসঙ্গত, এ দিন ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। এলাকাবাসী মন্ত্রী রথীন ঘোষের নামে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তিনি সমস্তটাই জানতেই। যদিও রথীনবাবুর দাবি, বাজি কারখানার মালিক আইএসএফ করেন। আবার নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, ঘটনার মোড় ঘোরাতেই তৃণমূল বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে।