বনগাঁ: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ইডি (Enforcement Directorate) আসরে নামতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। শনিবার সাত সকালে বনগাঁর রাধাকৃষ্ণ আটাকলে হানা দিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁর কলুপুরের ওই আটাকলে। এই আটাকল ও আটাকলের মালিকের বাড়িতে, দুই জায়গাতেই একইসঙ্গে চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান। আর এসবের মধ্যেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাচারের পথে বাজেয়াপ্ত হওয়া গম শুধু বাকিবুরের রাইস মিলেই নয়, সেই গম গিয়েছিল বনগাঁর এই আটাকলেও।
বছর কয়েক আগেকার কথা। ২০২০ সালের অক্টোবরে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল প্রচুর ট্রাক ভর্তি গম। সব মিলিয়ে ১৭৫টি ট্রাক থেকে ৫ হাজার ১০১ মেট্রিক টন গম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই টন টন গম বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। তবে তার আগেই বসিরহাট থানার পুলিশের তৎপরতায় সেই বিপুল পরিমাণ গম বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এরপর সেই বিপুল পরিমাণ বাজেয়াপ্ত হওয়া গম পাঠানো হয়েছিল বেড়াচাঁপায় বাকিবুরের চালকল-সহ মোট চারটি মিলে। সেই তালিকায় ছিল বনগাঁর এই রাধাকৃষ্ণ আটা মিলও। বাজেয়াপ্ত গমের মধ্যে ১ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন পাঠানো হয়েছিল বনগাঁর কলুপুরের এই আটাকলে।
টিভি নাইন বাংলার হাতে যে নথি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বসিরহাট থানার পুলিশ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ওই বিপুল পরিমাণ গম বাজেয়াপ্ত করেছিল। এরপর রাজ্য সরকারের খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের নথিটি ইস্যু করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, বাকিবুরের এনপিজি রাইস মিল, রাধাকৃষ্ণ আটাকল মিলিয়ে মোট চারটি জায়গায় ওই বাজেয়াপ্ত হওয়া গম পাঠানো হয়েছিল। পুলিশি অভিযানে বাজেয়াপ্ত গমের সিংহভাগই পাঠানো হয়েছিল বাকিবুরের রাইস মিলে ও বনগাঁর এই আটাকলে।