ব্যারাকপুর: বধূ নির্যাতনের তদন্তে নেমে বৃদ্ধ দম্পতির উপর ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ খড়দহ থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিমল দত্তের বিরুদ্ধে। জল গড়াল আদালত পর্যন্ত। অভিযুক্ত, পুলিশ (Police) অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শোরগোল ব্যারাকপুরের প্রশাসনিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?
সূত্রের খবর, সোদপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় তাঁর স্বামী রাহুল মুখোপাধ্যায়, শ্বশুর গৌতম মুখোপাধ্যায় এবং শাশুড়ি লেখা মুখোপাধ্যায় বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় বধূর নির্যাতনের অভিযোগ করেন। ২৬ জুন সেই অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নামেন বিমল দত্ত। অভিযোগ, তদন্তে নেমে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ফ্রিজ করে দেওয়া হয় বৃদ্ধার ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। এ ঘটনাতেই লেখা দেবী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরো ঘটনা জেনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক। সবদিক খতিয়ে দেখে তাঁর পর্যবেক্ষণ, তদন্তের নাম বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। এফআইএরের ৪৯৮ এ ধারা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রশ্ন উঠেছে ওই পুলিশ কর্তার ক্ষমতা নিয়ে।
সবদিক খতিয়ে দেখেই বিমল দত্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ব্য়ারাকপুর আদালতের বিচারক। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ। যদিও এখনও তীব্র আতঙ্কে রয়েছে লেখা দেবীর পরিবার। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলছেন, “যেটা আমার সঙ্গে আজ হয়েছে সেটা তো অন্য যে কোনও মানুষের সঙ্গে হতে পারে। কোনও বিপদ হলে মানুষ আগে পুলিশের সাহায্য চায়। কিন্তু, পুলিশ নিজেই যদি এভাবে তাণ্ডব চালায় তাহলে আমরা কার ভরসায় থানায় যাব? উনি যখন তল্লাশি চালাতে আসেন তখন আমার স্বামী ওনার কাছ থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। উনি দেখাতে পারেননি। কিন্তু, তারপরেও আমাদের লকার সিজ করে দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। এরপর কী হবে, না হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।”