আগরপাড়া: ফের রেল কোয়ার্টারে উত্তেজনা। সেখানকার বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টি গোটা এলাকায়। শেষে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয়তায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হল।
কী ঘটেছে?
ঘটনাস্থান আগরপাড়া (Agarpara)। সেখানেই ভগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে রেল কোয়ার্টার (Rail Quarters) । তার আশেপাশে রয়েছে বস্তি। এবার রেলের সেই জায়গা দখল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। আজ বস্তি ফাঁকা করতে আসে পুলিশ। কিন্তু এলাকাবাসী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে পড়ে তারা পুনরায় চলে যায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাদা কাগজে একটি নোটিশের ভিত্তিতে জেল কোয়ার্টার ফাঁকা করতে আসে রেল আধিকারিকেরা। সে সময় বাধা দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনুপম দত্ত। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কোয়ার্টারে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ স্লোগান দিতে শুরু করেন। রীতিমত বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এবার আন্দোলনের ফলে রেল কোয়াটার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া আজকের মত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “এখন মহামারী চলছে। এই পরিস্থিতিতেও রেল বারবার আসছে বস্তি উচ্ছেদের জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এরা এখানে থাকেন। জন্ম থেকেই এদের বাস এই এলাকায়। এদের অনেকের পূর্বপুরুষ এই এলাকায় বসবাস করতেন। সেই হিসেবে বংশ পরম্পরায় এরা এখানেই রয়েছেন। কিন্তু এই মহামারির সময় রেল বারবার চেষ্টা করছে এদের উচ্ছেদ করতে। কিন্তু এরা কোথায় যাবে? করোনার সময় এমনিতেই মানুষের রোজগার তলানিতে ঠেকেছে। তারমধ্যে ঘর ছাড়া করলে কোথায় থাকবেন এরা।” অন্যদিকে এক এলাকাবাসীর বক্তব্য, “আমরা এখানে সেই কবে থেকে বাস করছি। আমাদের রুজি-রোজগার সব এখানে। এখন আমাদের বলছে এলাকাছাড়তে। আমরা কোথায় যাব?কোনও পুর্নবাসনও দিচ্ছে না। বৌ-বাচ্চা নিয়ে কি পথে বসব?”
উল্লেখ্য গত দু’মাস আগেও ভগ্নদশা এই রেল কোয়াটার ফাঁকা করতে এলে বাধার সম্মুখীন পরে রেল আধিকারিকেরা। চলতি মাসের ৮ তারিখ দক্ষিণেশ্বরের রেলবস্তি উচ্ছেদ নিয়েও বাধার সম্মুখীন হতে হয়। জানা যায় সেখানে বাস প্রায় পাঁচশ পরিবারের। অভিযোগ, রেলের জমির মধ্যেই গড়ে উঠেছে তাদের বসবাস। এবার সেই বস্তি উচ্ছেদ করতে এলেই ঘটে এঘটন। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বস্তিবাসী। এলাকায় আসেন রেলের আরপিএফ অফিসাররা। গোটা এলাকা ঘিরে রাখেন রেলের আরপিএফ এবং অফিসাররা। ঘটনার পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এলাকার মহিলা থেকে শুরু করে কচি-কাচারা।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: বর্ষশেষে বাড়ি ফিরলেন মহারাজ