মধ্যমগ্রাম: পূর্ব ভারতের প্রথম ‘যান্ত্রিক’ নার্স। কোভিড সহ অন্যান্য রোগীর কাছে না গিয়েও পরিষেবা দিতে পারবে এই নার্স। মধ্যমগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে সেই প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। করোনা সংক্রমণ আচমকা হানা দেওয়ায় পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা দেখা গিয়েছিল। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে রোগীর কাছে না গিয়ে কীভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব, তা তখনও আয়ত্তে আসেনি। ফলে পিপিই কিট পরে পরিষেবা দিতে হয়েছে নার্সদের। তারপরও আক্রান্ত হয়েছেন বহু হাসপাতাল কর্মী। সেই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংক্রামক রোগীর কাছে না গিয়েও তাঁকে ইঞ্জেকশন সহ সমস্ত পরিষেবা দিতে পারবে ৫ ফুট উচ্চতার এক রোবট। শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষাকেন্দ্রেও পাঠিয়ে দেবে এই রোবোটিক নার্স নিজেই। আগামী এক বছরের মধ্যে এই রোবট সম্পূর্ণভাবে পরিষেবা দেবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। রোগীর জ্বর মাপা থেকে সময় মতো ওষুধ দেওয়া, সবকিছুই করবে এই রোবট।
মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, আপাতত কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে এই রোবট ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে এই হাসপাতালে রোবটিক সার্জারিও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিত্যনতুন পরিষেবার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে রোবট চালু হলে কি মানুষ কাজ হারাবে? মন্ত্রীর দাবি, এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে কাজ করাটা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না, সেখানেই কাজে লাগানো হবে রোবটকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই রোবটকে একাধিক পরিষেবায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে, সে ব্যাপারে ওই রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আধিকারিকেরা।