বসিরহাট: শরীরের নিম্নাঙ্গ অদ্ভুতভাবে মোটা দেখাচ্ছিল। সেটা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল তদন্তকারীদের। আর সেটা দেখেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তাঁরা। কথায় অসঙ্গতি থাকায়, তল্লাশি চালান। আর তাতেই পর্দাফাঁস। নিম্নাঙ্গের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে ধৃত। স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর চেকপোস্টের ঘটনা। পাচারকারী বছর পঁচিশের আল মামুনের বাড়ি স্বরূপনগরেরই স্বরূপদহ গ্রামে। সাইকেলে করে হাকিমপুর চেকপোষ্টে আসতেই কর্তব্যরত ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সন্দেহ হয়। সেই সময় তাঁকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি চালাতেই দেখা যায় তার শরীরের নিম্নাঙ্গে সোনার বিস্কুটগুলি বাঁধা রয়েছে।
উদ্ধার হয় ১০টি সোনার বিস্কুট, যার ওজন ১ কেজি ১৯০ গ্রাম। জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া বিস্কুটের বাজার মূল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। এই সোনার বিস্কুটগুলি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ হয়ে বিএসএফের নজর এড়িয়ে এদেশে ঢুকেছে। এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
প্রশ্ন হচ্ছে, সীমান্তে সুরক্ষা কড়া নজরদারি থাকতেও কীভাবে বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে সোনার বিস্কুটগুলি কী করে এ দেশে ঢুকল? উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট ও পাচারকারীকে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত পাচারকারী যুবককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এর আগেও অভিনব কায়দায় সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছে বিএসএফ। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার কৈজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ দোবিলা সীমান্তে উরুতে গিয়ে সোনা পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের জালে ধরা পড়ে। উরুতে পাঁচটি সোনার বিস্কুট সেলোটেপ দিয়ে আটকানো ছিল। সে সময়ে উদ্ধার হওয়া বিস্কুটের মূল্য প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা।