উত্তর দিনাজপুর: চাকরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁর হাতেই কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বেলঘরিয়ায় সেই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে যান। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পূর্ত ভবনে যান তিনি। গত ৯ নভেম্বর ২০১৪ টেট পাশ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে ক্যামাক স্ট্রিটে বিক্ষোভ করেন। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন ইভা থাপা নামে একজন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল কামড়ে দেন চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা ঘোষকে। এ নিয়ে পুলিশের দারস্থ হন অরুণিমা। দ্বারস্থ হন রাজ্য মহিলা কমিশনেরও।
অরুণিমার দাবি, রাজ্য মহিলা কমিশনের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে বলা হয় মহিলা পুলিশ কনস্টেবল কামড়েছিলেন, সেই পুলিশ কনস্টবলকে সেন্সর করা হয়েছে এবং তাঁকে স্পেশ্যাল ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
অরুণিমা এই বিচারে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি দারস্থ হন জাতীয় মহিলা কমিশনে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আইন অনুযায়ী এই বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গত ২৮ তারিখ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফে অরুণিমাকে বারোটার সময় ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তিনি গিয়ে পূর্ত ভবনে মানবাধিকার কমিশন দফতরে উপস্থিত হন। সেই দিন বিশেষ কারণবশত রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারায় পরবর্তী দিন অর্থাৎ আজ ডেকে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ অরুণিমা পাল পূর্ত ভবনে মানবাধিকার কমিশন দফতরে পৌঁছন।
অরুণিমা পাল নিজের বাড়িতে বসে আগেই বলেছেন, “আমি ওদের বিভাগীয় তদন্তে ব্যাপারে একেবারেই জ্ঞাত ছিলাম না। কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে পারিনি। আমার প্রশ্ন, যে পুলিশের কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন রয়েছে, সেই অসুস্থ, অস্বাস্থ্যকর কনস্টেবল কীভাবে নিয়োগ হলেন? নাকি তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তাই আমি পরবর্তী পদক্ষেপ করি।”